নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলর প্রথম লেগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে তাদেরই মাঠে ২-০ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। সফরকারী দলের দুই গোলেই ভূমিকা ছিল এঞ্জেল ডি মারিয়ার। অথচ ওল্ড ট্রাফোর্ডে পুরো ম্যাচেই দর্শকদের দুয়োধ্বনী শুনতে হয়েছে ডি মারিয়াকে।
কারণটা হয়ত ফুটবল প্রেমিদের কাছে অজানা নয়। ২০১৪ সালে সে সময়ের ব্রিটিশ রেকর্ড ৫৯.৭ মিলিয়ন পাউন্ডে রিয়াল মাদ্রিদের কাছ থেকে ডি মারিয়াকে কিনে নেয় লুইস ফন গালের অধীনে নতুনভাবে গুছিয়ে নিতে শুরু করা ইউনাইটেড। কিন্তু ইংলিশ ফুটবলের সঙ্গে এবং মাঠের বাইরেও পরিবার নিয়ে মানিয়ে নিতে পারেননি ডি মারিয়া। এক মৌসুম পরেই তাই পিএসজির কাছে ডি মারিয়াকে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
সেই ডি মারিয়া প্রথমবারের মত ফিরলেন ওল্ড ট্রাফোর্ডে। পিএসজি কোচ টমাস টুখেল ভেবেছিলেন ‘তার আগমনটা ভালোভাবে মেনে নেবে ইউনাইটেড’। কিন্তু হলো ঠিক এর উল্টোটা। প্রথমার্ধের পুরোটা সময় গ্যালারি থেকে ধেয়ে আসা দুয়োধ্বনীর তোপ সইতে হয়েছে ডি মারিয়াকে। তাকে উদ্দেশ্য করে বিয়ার ও পানির বোতল সহ হাতের কাছে যা পেয়েছে তাই ছুড়ে মেরেছে পাগলাটে ম্যান ইউ সমর্থকরা। এক সময়ের স্বতীর্থ অ্যাশলে ইয়াং ছেড়ে কথা বলেননি। খুব বাজেভাবে ডি মারিয়াকে ‘অহেতুক’ ফাউল করেন ইয়াং। দ্বিতীয়ার্ধে দুয়োধ্বনীর মাত্রা বাড়ে আর্জেন্টাইন উইঙ্গারের সহায়তায় যখন কিম্পাম্বের গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। সাত মিনিট পর এমবাপের দ্বিতীয় গোলেও ছিল ডি মারিয়ার সহযোগিতা। এর পরেই ম্যান ইউ সমর্থকদের উপর উল্টো ক্ষোভ প্রকাশ করেন ডি মারিয়া।
ম্যাচ শেষে ডি মারিয়া প্রসঙ্গে টুখেল বলেন, ‘প্রথমার্ধে তার জন্য সময়টা ছিল খুব কঠিন।’ পিএসজি কোচ বলেন, ‘ছেলেরা খুবই প্রতিযোগীতামূলক। কোন খোঁচা দিয়ে আপনি তাদের ঘায়েল করতে পারবেন না।’ ম্যাচ সেরা ডি মারিয়ার প্রশংসায় টুখেল বলেন, ‘সে সবসময় তার সেরাটা দেয়। আর তাই প্রথমার্ধে অতটা ভালো না খেললেও তাকে সহজেই ক্ষমা করে দেওয়া যায়।’ ‘আমি খুব খুশি। কর্নারে সে সবসময় প্রতিপক্ষের জন্য ভয়ঙ্কর এবং অবশ্যই দ্বিতীয় গোলে তার অবদান দারুণ; উন্মুক্ত জায়গা থেকে কিলিয়ানকে সে নিখুঁতভাবে বলটা বাড়িয়েছিল।’ ‘এটা তার জন্য দারুণ এক ফেরা। আমি তার জন্য খুশি এবং অবশ্যই সে আমাদের অনেক সাহায্য করেছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।