Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ত্রিপুরায় মোদির সামনেই নারী মন্ত্রীর কোমরে হাত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে মহিলা মন্ত্রীর কোমরে অন্য মন্ত্রীর হাত দেওয়া নিয়ে উত্তপ্ত হলো ভারতের ত্রিপুরার রাজনীতি। গত ৯ ফেব্রুয়ারি আগরতলায় একটি কর্মসূচিতে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অনুষ্ঠানের মঞ্চে ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব-সহ অন্যান্য মন্ত্রীরাও। তার মধ্যেই ছিলেন সামাজিক উন্নয়ন ও সামাজিক শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা। আর ঠিক তার পিছনেই গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে ছিলেন খাদ্য, যুব এবং ক্রীড়ামন্ত্রী মনোজকান্তি দেব। সেখানেই দেখা যায়, পিছন থেকে সান্ত্বনা চাকমার কোমরে হাত দেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। সান্ত্বনা হাত সরিয়ে দিয়েছেন, সেই ছবিও ধরা পড়ে। এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ভাইরাল হয়ে যায়। তৈরি হয় তীব্র বিতর্ক। অশোভন ভাবে মহিলা মন্ত্রীর গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করায় তার সম্ভ্রমহানি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সরব হয় নেটিজেনরা। অভিযুক্ত মন্ত্রী মনোজকান্তি দেবকে বরখাস্ত এবং গ্রেফতারের দাবি আগেই জানিয়েছিল বামেরা। এ এবার পথে নেমে একই দাবি জানাল বামেদের শাখা সংগঠন সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি। এই ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন আগরতলায় মিছিলে শামিল হন বাম নেত্রী-কর্মীরা। তাদের বক্তব্য, যে রাজ্যে এক জন মহিলা মন্ত্রীর পক্ষে নিজের সম্ভ্রম রক্ষা করা দায় হয়, এবং অন্য এক জন মন্ত্রীই এমন কান্ড ঘটান, সেখানে সাধারণ মহিলারা কী ভাবে নিরাপদে থাকবেন। বিষয়টি ভাল ভাবে নেয়নি আদিবাসী সমাজও। আদিবাসীদের একটি সংগঠন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই তারা সংগঠিত প্রতিবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কয়েকটি আদিবাসী রাজনৈতিক দলও বিক্ষোভ-আন্দোলনের কর্মসূচি ঠিক করতে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করছেন বলে ওই দলগুলি সূত্রে খবর মিলেছে। এ নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনেও কিছুটা উদ্বেগ ছড়িয়েছে। কড়া নজর রাখা হচ্ছে পরিস্থিতির উপর।

অন্য দিকে যাকে ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত গতকাল সেই সান্ত্বনাদেবী প্রথম মুখ খুলেছেন। বিজেপির অবস্থানের প্রতিফলনই শোনা গিয়েছে তার গলায়। তিনি এ দিন বলেন, ‘গত ৯ ফেব্রুয়ারির ঘটনা নিয়ে আমার সঙ্গে মন্ত্রী মনোজকান্তি দেবকে জড়িয়ে যে ধরনের প্রচার চলছে, তাতে আমি লজ্জিত। রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে বাম-সহ বিরোধীরা ত্রিপুরার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতেই এই ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।’ এর বিরুদ্ধে তিনি আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। তবে এ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি অভিযুক্ত মন্ত্রী।
এদিকে, দিকে বামেদের বিরুদ্ধে পাল্টা ঘৃন্য রাজনীতির অভিযোগ তুলেছে শাসক বিজেপি। দলের মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, ‘মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা সংবাদ মাধ্যম বা অন্য কোথাও কোনও অভিযোগ করেননি। কিন্তু বামেরা অভিযোগ তুলছে কেন? ওদের হাতে সরকারের বিরুদ্ধে কোনও ইস্যু নেই। একটি মিথ্যে এবং সামান্য ঘটনাকে ঘিরে এক মহিলা মন্ত্রীর চরিত্র হননের চেষ্টা করছে বামেরা। এটা নোংরা রাজনীতি।’ সূত্র: টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ