যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
যতই জোরদার চেষ্টা করুন না কেন, ওজন কমানো কিন্তু যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ। স্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং শরীরচর্চা- এই দুইয়ের পারফেক্ট যুগলবন্দিই আপনাকে এনে দিতে পারে মনমতো চেহারা। কেক-কুকিজ, আইসক্রিম, চিপস রোজ খাওয়া বন্ধ করলে অবশ্যই আপনার চেহারায় এর প্রভাব পড়বে। তবে পেট ও শরীরে জমে থাকা বহুদিনের জেদি ফ্যাট কাটাতে হলে আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে।
ডায়েটে প্রোটিন ও ফাইবারযুক্ত খাবারের পাশাপাশি বাদাম ও প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি খেতে হবে। অনেক পুষ্টিবিদের মতে, গোটা ফল খেলে ফাইবার ঢোকে শরীরে, ফলে ওজন কমতে সাহায্য করে। তবে বাড়িতেই এমন কিছু পানীয় তৈরি করা যায়, যেগুলি দিয়ে অনায়াসেই ওজন কমানোর কাজ করা যেতে পারে।
হলুদ, আদা এবং শসা দিয়ে একটি পানীয় তৈরি করে খেয়ে দেখুন, ম্যাজিক চোখে পড়বে।
হলুদ : হলুদে প্রচুর পরিমাণে কারকিউমিন থাকে, যা আপনার মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে।
শসা : শসা হল ক্যালোরিহীন খাবার। তার মানে এটি হজম হতে গেলে বেশি পরিমাণে ক্যালোরি খরচ হবে। জানেন, ১০০ গ্রাম শসায় মাত্র ১৬ গ্রাম ক্যালোরি থাকে। শসায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও ভিটামিন এ থাকে। সঙ্গে এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পানি। শরীর ঠান্ডা করতেও দারুণ কাজে আসে শসা।
আদা : প্রত্যেক ভারতীয় বাড়িতেই আদা একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় রান্নার সরঞ্জাম। আদা খেলে হজমশক্তিও বৃদ্ধি পায়। হজমশক্তি ভালো না থাকলে কখনওই আপনার ওজন কমাতে পারবেন না।
কী কী লাগবে?
এই পানীয় তৈরি করতে প্রয়োজন-একটি শসা, সামান্য কাঁচা হলুদ, ২-৩ টেবিল চামচ আদা ঘষা এবং এক চিমটে গোলমরিচ।
কীভাবে তৈরি করবেন?
চাকা চাকা করে শসা কাটুন। ব্লেন্ডারে দিয়ে ওটিকে স্মুথ করে নিন। সঙ্গে মিশিয়ে দিন বাকি জিনিসগুলি।
খালি পেটে এটি ওজন কমানোর কাজে দারুণ উপকারী। সূত্র : টাইমস অভ ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।