পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বর্ণের দর কমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বেশ কিছু দিন ধরে স্বর্ণের দাম কমলেও দেশের বাজারে কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে মঙ্গলবার রাতে।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) থেকে দেশে সব ধরনের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমানো হয়েছে।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বুধবার থেকে সবচেয়ে ভালোমানের প্রতি ভরি স্বর্ণ ৭৩ হাজার ১৩৩ টাকায় বিক্রি করা হবে।
বিশ্ববাজারে দাম কমায় স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাজুস।
এর আগে সর্বশেষ গত ১৩ নভেম্বর মূল্যবান এই ধাতুটির দাম ভরিতে ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়ানো হয়েছিল।
বাজুস নির্ধারিত নতুন মূল্যতালিকা অনুযায়ী, বুধবার থেকে সবচেয়ে ভালোমানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ প্রতি গ্রাম বিক্রি হবে ৬ হাজার ২৭০ টাকায়। একইভাবে প্রতি গ্রাম ২১ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম হবে ৬ হাজার টাকা।
১৮ ক্যারেটের প্রতি গ্রাম ৫ হাজার ২৫০ টাকা এবং সনাতনী পদ্ধতির প্রতি গ্রাম স্বর্ণ ৪ হাজার ৩৬৫ টাকায় বিক্রি করা হবে।
নতুন দর অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম হবে ৭৩ হাজার ১৩৩ টাকা। মঙ্গলবার পর্যন্ত এ মানের স্বর্ণের দাম ছিল ৭৪ হাজার ৩০০ টাকা টাকা।
২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি বিক্রি হবে ৬৯ হাজার ৯৮৪ টাকায়। বুধবার পর্যন্ত দাম ছিল ৭১ হাজার ১৫০ টাকা।
আর ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের নতুন দাম হবে ৬১ হাজার ২৩৬ টাকা। বুধবার পর্যন্ত তা ৬২ হাজার ৪০২ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
প্রতি ভরি সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের নতুন দাম হবে ৫০ হাজার ৯৩৬ টাকা। বুধবার পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ৫২ হাজার ৮০ টাকায়।
অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। আগের মতোই দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৫১৬ টাকা।
ধাতুটির ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ হাজার ৪৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ হাজার ২২৫ টাকা ও সনাতনী প্রতি ভরি ৯৩৩ টাকায় বিক্রি হবে।
গত এপ্রিল ও মে মাসজুড়ে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ঊর্ধ্বমুখী ছিল।
বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বেড়ে যাওয়ায় মে মাসে দেশের বাজারে দুই দফায় ভরিতে স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৩৭৪ টাকা বাড়ায় বাজুস।
পরে ২০ জুন সব ধরনের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৫১৬ টাকা করে কমানো হয়েছিল। এর পর ২২ আগস্ট একই পরিমাণ করে বাড়ানো হয়।
৩০ সেপ্টেম্বর একই পরিমাণ কমানো হয়েছিল।
এবার স্বর্ণের দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে বাজুস মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, করোনার নতুন ভ্যারিয়ান্ট ‘ওমিক্রন’ এর প্রার্দুভাব ও বিশ্ব অর্থনীতির নানা জটিল সমীকরণে মধ্যে আন্তর্জাতিক স্বর্ণ বাজারে স্বর্ণের দাম কিছুটা নিম্নমুখী। দেশিয় বুলিয়ন মার্কেটেও পাকা স্বর্ণের দাম নিম্নমুখী। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাজুসের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৫ ডিসেম্বর বুধবার থেকে বাংলাদেশের বাজারে স্বর্ণের দাম ভরি প্রতি ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমানো হলো।
তবে রূপার দাম অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানিয়েছে বাজুস।
বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, দেশে স্বর্ণের দাম বাড়া বা কমা নির্ভর করে বিশ্ববাজারের ওপর। বিশ্ববাজারে বাড়লে দেশের বাজারেও দাম বাড়ানো হয়। ঠিক তেমনি বিশ্ববাজারে দাম কমলে দেশেও কমে স্বর্ণের দাম।
তিনি বলেন, গত ১৩ নভম্বের দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করার পর এখন বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম খানিকটা কমেছে। সেই দামের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে।
পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সব জুয়েলারি ব্যবসায়ীকে বাজুস নির্ধারিত মূল্য তালিকা অনুযায়ী স্বর্ণ বিক্রির অনুরোধ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।