Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হাতির মূর্তি বানানোর টাকা মায়াবতীকে ফেরতের নির্দেশ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৮:৪৩ পিএম

নির্বাচনের ঠিক আগে দেশের শীর্ষ আদালতের তোপের মুখে পড়লেন মায়াবতী। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন উত্তরপ্রদেশ জুড়ে কোটি কোটি টাকা খরচ করে নিজের এবং বহুজন সমাজ পার্টির দলীয় প্রতীক হাতির মূর্তি বসিয়েছিলেন তিনি। সরকারি টাকার অপব্যবহার সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানাল, এই টাকা মায়াবতীর নিজের পকেট থেকেই দেওয়া উচিত।
২০০৭ থেকে ২০১২। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন এই পাঁচ বছরে রাজ্য জুড়ে বহু কোটি টাকা খরচ করে একের পর এক পার্ক তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন মায়াবতী। লখনউ এবং নয়ডাতেই সব থেকে বেশি খরচ করা হয়েছিল পার্ক বানানোর পিছনে। প্রতিটি পার্কেই নিজের এবং নিজের দলীয় প্রতীক হাতির বিশাল মূর্তি বসানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী। ক্ষমতায় থাকাকালীনই ২০০৯ সালে এই কর্মকাণ্ডের জন্য দেশ জুড়ে সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয় সুপ্রিম কোর্ট। পার্ক তৈরিতে নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছিল দেশের শীর্ষ আদালত। পরে উত্তরপ্রদেশ সংস্কৃতি দফতরের বাজেট থেকে জানা যায়, ২০০৮-০৯ অর্থবর্ষে এই মূর্তি বানানোর জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারের খরচ হয়েছিল মোট ১৯৪ কোটি টাকা।
এই ঘটনার জেরে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন এক আইনজীবী। শীর্ষ আদালতে তাঁর সওয়াল ছিল, সরকারি টাকা, যা আসলে জনগণের, সেই টাকা নিজের মূর্তি, নিজের দলীয় প্রতীক এবং নিজের দলের কোনও কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
এই মামলাটি এখন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি দীপক গুপ্ত এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে বিচারাধীন। আজ এই মামলার শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ জানান, ‘আমাদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ—জনগণের টাকায় নিজের এবং দলীয় প্রতীক বানিয়ে থাকলে সেই টাকা মায়াবতীকে নিজের পকেট থেকেই দিতে হবে।’
এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২ এপ্রিল বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ। মায়াবতীর আইনজীবী অবশ্য শীর্ষ আদালতের কাছে লোকসভা নির্বাচনের জন্য শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ