নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) হ্যাটট্রিক জয়ে তালিকার শীর্ষে জায়গা করে নিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে আবাহনী ১-০ গোলে হারায় টিম বিজেএমসিকে। বিজয়ী দলের হয়ে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন ডিফেন্ডার তপু বর্মন। লিগে এটা বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের টানা তৃতীয় জয়। এ জয়ে পাঁচ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট পেয়ে সবার উপরে আবাহনী। সমান ম্যাচে ১ পয়েন্ট পাওয়া বিজেএমসির অবস্থান ১২তমস্থানে।
এক নবাগত নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে কষ্টের জয়ে (২-১ গোলে) এবারের লিগ শুরু আবাহনীর। পরের ম্যাচে আরেক নবাগত বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে বিধ্বস্ত হয়ে (৩-০) কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় লিগের ছয়বারে চ্যাম্পিয়নরা। তবে এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের। পরের তিন ম্যাচেই যথারীতি জয় তুলে নিয়েছে আবাহনী। চতুর্থ পর্ব পর্যন্ত তালিকার শীর্ষে ছিল বসুন্ধরাই। ৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে সবার উপরে থেকেই শিরোপার লড়াইয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল বসুন্ধরা। তাদেরকে পেছনে ফেলতে হলে জয়ের বিকল্প নেই। এমনটা মাথায় ছিল আবাহনী খেলোয়াড়দের। ফলে বসুন্ধরার কাছে হারের পর তারা প্রতিটি ম্যাচেই জয় পেতে নিজেদের উজার করে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিজেএমসির বিপক্ষেও জয় পেতে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে ঢাকা আবাহনী। ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণাতœক ফুটবল উপহার দিয়ে একের পর এক গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে তারা। যদিও ৭ মিনিটে ব্যর্থ হন আবাহনীর স্থানীয় ফরোয়ার্ড রুবেল মিয়া। এসময় হাইতির ফরোয়ার্ড কেরভেন্স ফিলস বেলফোর্টের কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সের ভেতর থেকে ক্রসবারের ওপর দিয়ে মারেন রুবেল। তবে ধারাবাহিক আক্রমণের মুখে ম্যাচের ২৬ মিনিটে এগিয়ে যায় আবাহনী। এসময় মাঝমাঠের একটু ওপর থেকে ডিফেন্ডার ওয়ালী ফয়সালের ফ্রি কিক থেকে অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে তপু হেডে গোল করেন (১-০)। ম্যাচের ৫৪ মিনিটে আবদুল্লাহ আল মামুনের কর্নারে ক্যামেরুনের ডিফেন্ডার বেবেকের হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে গেলে সমতায় ফেরার সুযোগটি নষ্ট হয় বিজেএমসির। মিনিট চারেক পর ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা রুবেলের আড়াআড়ি ক্রসে আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে সিজোবা গোলমুখ থেকে হেড নিতে ব্যর্থ হলে ব্যবধান বাড়েনি ম্যাচে। ম্যাচের যোগকরা সময়ে জুয়েল রানার বাড়ানো বল ধরে বিজেএমসির গোলরক্ষককে একা পেয়েও ব্যর্থ হন সিজোবা। ফলে শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আবাহনী।
একই ভেন্যুতে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত দিনের অন্য ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ২-০ গোলে হারায় আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে। বিজয় দলের হয়ে সলোমন কিং ও লুসিয়ানো একটি করে গোল করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।