মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রতিবাদ সমাবেশে কথিত ‘ভারত-বিরোধী’ শ্লোগান দেয়ার অপরাধে এক দল মানুষের বিরুদ্ধে সোমবার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দিয়েছে ত্রিপুরা পুলিশ। ছয় দিন আগে বিতর্কিত সিটিজেনশিপ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশে ওই শ্লোগান দেয়া হয়। ওই সমাবেশে বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশের আয়োজকরা অবশ্য বলেছেন ৩০ জানুয়ারির ওই সমাবেশ ছিল শান্তিপূর্ণ এবং তাদের বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগ ভিত্তিহীন।
বিতর্কিত এই বিলটি ৮ জানুয়ারি লোকসভায় পাস হয়েছে। এই বিলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিম অভিবাসীদের ভারতে ছয় বছর টানা অবস্থান করার শর্তে নাগরিকত্ব দেয়ার বিধান রাখা রয়েছে। আগে এ সময়কাল ছিল ১২ বছর। আর নতুন বিল অনুযায়ী বৈধ কাগজপত্র না থাকলেও এ সুযোগ পাবে অভিবাসীরা।
বিজেপি-শাসিত ত্রিপুরাসহ ভারতের পুরো উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এই বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ছড়িয়ে গেছে। এ অঞ্চলের বেশ কিছু সংগঠন ও রাজনৈতিক দল দাবি করেছে যে, এই আইনের ফলে স্থানীয় আদিবাসীদের পরিচয়, ভাষা ও সংস্কৃতি হুমকির মুখে পড়ে যাবে।
৩০ জানুয়ারি সাতটি আদিবাসী সংগঠনের রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম মুভমেন্ট এগেইনস্ট সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল (এমএসিএবি) ত্রিপুরা ট্রাইবাল এরিয়ার অটোনোমাস টেরিটোরিয়াল কাউন্সিলের সদরদপ্তর খুমুলওয়াং-এ ওই সমাবেশের আয়োজন করে। আগরতলা থেকে ওই জায়গার দূরত্ব ২০ কিলোমিটার।
এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, সমাবেশে একটি গ্রুপ এমন কিছু শ্লোগান দিয়েছে, যেটা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।
পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জিরানিয়ার সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার প্রাণ কৃষ্ণ দাস বলেন, “৪০ জনের মতো মানুষ “বাই বাই ইন্ডিয়া, হ্যালো চায়না” শ্লোগান দেয়, যেটা গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা সমাবেশের ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করছি”।
যারা সমাবেশে অংশ নিয়েছিল, তাদের মধ্যে রয়েছে ইন্ডিজেনাস ন্যাশনালিস্ট পার্টি অব টিপরা, টিপরা স্টুডেন্ট ফেডারেশান, ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা (টিপরাহা), ন্যাশনাল কনফারেন্স অব ত্রিপুরা, ত্রিপুরা পিপলস ফ্রন্ট এবং বিরোধী দল কংগ্রেসের শিডিউল ট্রাইব সেলের নেতাকর্মীরা।
আইএনপিটি জেনারেল সেক্রেটারি জগদিশ দেব্বার্মা, এমএসিএবি আহ্বায় অ্যান্থনি দেব্বার্মা এবং আইপিএফটি-টিপরাহার প্রধান অঘোর দেব্বার্মাসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতাও ওই সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন।
সাব-ইন্সপেক্টর রথিন্দ্র দেব্বার্মা যে এফআইআর দাখিল করেছেন, সেখানে বলা হয়েছে: “জগদিশ দেব্বার্মা, অ্যান্থনি দেব্বার্মা এবং অঘোর দেব্বার্মা এবং তাদের সমর্থকরা রাষ্ট্রদ্রোহের ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত এবং বিভিন্ন জাতিগত গ্রুপের মধ্যে তারা ঘৃণা ছড়াচ্ছেন এবং সে কারণে তারা ত্রিপুরা পুলিশ অ্যাক্টও লঙ্ঘন করেছেন”।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার প্রতিক্রিয়ায় এমএসিএবি আহ্বায়ক বলেন, “গণতান্ত্রিক পরিবেশে এটা ছিল শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ। আদিবাসী মানুষদের কণ্ঠ স্তব্ধ করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমি এর নিন্দা জানাই এবং এটা মত প্রকাশের স্বাধীনতার লঙ্ঘন”।
আইএনপিটি সাধারণ সম্পাদকও অভিযোগকে ভিত্তিহীন হিসেবে উল্লেখ করেন।
তবে ত্রিপুরা বিজেপির মুখপাত্র অশোক সিনহা বলেছেন, তার দল জানতে পেরেছে যে, বিক্ষোভ সমাবেশের মধ্যে ৩০-৪০ জন ব্যক্তিকে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছিল, যাতে তারা ভারত-বিরোধী শ্লোগান দেয়।
তবে কারা শ্লোগান দিয়েছে বা কারা তাদেরকে সেখানে ঢুকিয়েছে, সে ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।