Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মোদিকে সরাতে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বিরোধীদের

তহবিল সঙ্কটে ভারতীয় সেনাবাহিনী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

ভারতের আঞ্চলিক দলগুলোর সম্মিলিত জোট মোদিকে হারাতে নতুন অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই পরিকল্পনার মধ্যে থাকছে ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস পার্টির ঘোষণা দেয়া একটি মাইলফলক নীতি, যেখানে মে মাসের নির্বাচনে বিজয়ী হলে দরিদ্রদের একটা ন্যূনতম আয় নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে বিরোধীরা সম্মিলিতভাবে অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়নের চেষ্টা করছে। বিরোধী জোট গড়তে যিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, সেই এন চন্দ্রবাবু নাইডু রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ভারত। যার ফলে, গুরুতর তহবিল সংকটে পড়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে একটা শক্তিশালী বিরোধী জোটের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন, তার আরেকটি লক্ষণ এটি। সাক্ষাতকারে নাইডু জানান, এই জোটে ২৩টি দল রয়েছে এবং গত মাসে কলকাতায় তারা বিশাল সমাবেশ করেছে। এই জোট তাদের নির্বাচনী ইস্যুতে দারিদ্র বিমোচন, কৃষি, কর্মসংস্থান এবং ‘প্রতিটি পরিবারের জন্য ন্যূনতম আয়ের’ নীতির প্রতি মনোযোগ দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘বহু রাজনৈতিক দল একমত হয়ে কাজ করছে। কৃষকদের সমস্যাটা সবচেয়ে বড় ইস্যু, বেকারত্বটা আরেকটি বড় ইস্যু। অর্থনীতির দিকটাতেই আমাদের মনোযোগ দিতে হবে।’
গত মাসে ইন্ডিয়া টুডে’র পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, তরুণ জনগোষ্ঠির মধ্যে কাজের অভাব এবং কৃষকদের জন্য দুর্বল অর্থনীতির কারণে মোদির জনপ্রিয়তা স্মরণকালের মধ্যে নিম্নতম পর্যায়ে চলে গেছে। জরিপে আরও বলা হয়েছে যে, মোদির ক্ষমতাসীন জোট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে। ফলে আঞ্চলিক দলগুলো জোট বাঁধলে ক্ষমতায় আসার ক্ষেত্রে সেটা বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে।
অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ব্যবসায়-বান্ধব নীতি বাস্তবায়নের জন্য খ্যাতি পেয়েছেন নাইডু। তার নীতির কারণে মাইক্রোসফটের মতো প্রতিষ্ঠান তার রাজ্যে বিনিয়োগ করেছে। তার তেলেগু দেশম পার্টি, ভারতীয় পার্লামেন্টের আঞ্চলিক দলগুলোর মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম পার্টি। গত মার্চ পর্যন্ত মোদির ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সাথে জোটবদ্ধ ছিলেন তিনি। অন্ধ্র প্রদেশে অর্থায়নের ব্যাপারে মতভেদের কারণে জোট থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।
এদিকে, গুরুতর তহবিল সংকটে পড়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। দৈনন্দিন ব্যয় বহন ও বিভিন্ন কোর্স ও গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দিতে সেনা অফিসারদের যাতায়াত খরচ পরিশোধ করতে গিয়েও সেনাবাহিনীকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এসব খাতে প্রতিবছর প্রায় ৪,০০০ কোটি রুপি ব্যয় হয়।
গত সোমবার পুনের প্রিন্সিপাল কন্ট্রোলার অব ডিফেন্স একাউন্টস থেকে জারি করা এক নির্দেশে বলা হয়েছে, টেম্পরারি ডিউটি এন্ড পারমানেন্ট ডিউটি খাতে পর্যাপ্ত অর্থ নেই। ফলে পর্যাপ্ত অর্থ না পাওয়া পর্যন্ত সেনা অফিসারদের টিএ/ডিএ’র আগাম বা দাবি পরিশোধ করা যাবে না। তবে লিভ ট্রাভেল কনসেসন (এলটিসি) অব্যাহত থাকবে।
পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কর্মকর্তারা বলছেন, যেকোন সময় ১,০০০-এর বেশি অফিসার অস্থায়ী ডিউটিতে যাওয়া-আসার মধ্যে থাকেন। আগে তারা সম্ভাব্য ব্যয়ের ৬০-৭০ শতাংশের বেশি আগাম তুলে নিতে পারতেন এবং পরে বিল পেশ করতেন। কিছুদিন থেকে এই সুবিধা বন্ধ রয়েছে। আগে অফিসাররা সাধারণত নিজেদের খরচে ভ্রমণ করতেন এবং পরে সেটি দাবি করতেন। এটাও স্থগিত করা হয়েছে নতুন নির্দেশে। সেনা অফিসারদের হোটেলে থাকা পরিহার করতে বলার কিছু দিনের মাথায় এই নির্দেশ জারি করা হলো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ