Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতিবাচক স্ট্যাটাস-মন্তব্য করতে পারবেন না শিক্ষকরা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

প্রাথমিক শিক্ষকদের ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে সতর্ক করে দিয়ে একটি নির্দেশনা জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। গতকাল মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা করা হয়।
কর্মকর্তারা বলছেন, সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে শিক্ষকদের অনেক মন্তব্য বা সমালোচনা দেখা গেছে, যা সরকারি নীতির খাপ খায়না। তাই তাদের সতর্ক করে দিতে ওই নির্দেশনাটি জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ''ইদানীং ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কে নেতিবাচক স্ট্যাটাস/মন্তব্য ও বিভিন্ন অপপ্রচারমূলক তথ্য প্রদান করা হচ্ছে, যা সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশিকা, ২০১৬ এর পরিপন্থী।''

''কিন্তু ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে নেতিবাচক মন্তব্য ও অপপ্রচারমূলক স্ট্যাটাস/মন্তব্য প্রচার করা হচ্ছে এবং শেয়ার করা হচ্ছে, যা প্রাথমিক শিক্ষা তথা সরকারের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। এ ধরণের কার্যক্রম কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।''

সরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশিকার অনুযায়ী, প্রাথমিক শিক্ষা তথা সরকারের বিরুদ্ধে কোন ধরণের অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিমূলক স্ট্যাটাস/ মন্তব্য প্রদান বা শেয়ার করার ব্যাপারে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৭:৫৪ এএম says : 0
    আমি ব্যাক্তিগতভাবে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। সরকারের নীতির বাহিরে শিক্ষকরা শিক্ষানীতি সহ শিক্ষার উপর বিভিন্ন অপ্রীতিকর মন্তব্য করে আসছিল যানাকি সরকারের ভাবমূর্তির অবমাননা হচ্ছিল। এতে করে শিক্ষাঙ্গনে দুটি ধারার সৃষ্টি হয়েছিল একটি সরকারি দলের পক্ষে অপরটি সরকারি দলের বিপক্ষে। কিন্তু আমি আমার ছাত্রজীবনে দেখে এসেছি সরকারি কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা সবাই সরকারের পক্ষে থাকে। সেখানে কোন দল মত বলে কোন কথা নেই শুধু আইনের উপর কাজ করে যাওয়া। সরকার সবসময়ই কোন না কোন রাজনৈতিক দলই পরিচালিত করে থাকে। কাজেই যখন যে দল সরকারে যায় তারা তাদের মত করেই আইন প্রণয়ন করেন এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সেইভাবেই কাজ করে যায়। পূর্বের কোন পদ্ধতী বাতীল হলে সেটা নিয়ে আর কোন কথা থাকেনা। কিন্তু এখন দেখাযায় সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের পছন্দমত আইন না হলেই বাতিলটা কার্যকর করার প্রচেষ্টা করে। যদি সেটা করতে না পারে তখনই তারা বিষয়টাকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মূহুর্তের মধ্যে অপ্রচার করে বিভ্রাটের সৃষ্টি করে দেয়। ফলে বিরোধী দল এর ফয়দা নিতে থাকে। কাজেই সরকারের এই কঠিন পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন ছিল বলে বিজ্ঞজনেরা আলোচনা করছে। আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটাকে সঠিক ভাবে কার্যকর করার ক্ষমতা আমাদেরকে প্রদান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিক্ষকরা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ