পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয়করণের আশ্বাস পেয়ে অনশন ভেঙেছেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকরা। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুর ২টায় কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মোঃ আলমগীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশনস্থলে এসে দাবি মেনে নেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার পর শিক্ষকরা অনশন ভাঙেন।
এর আগে পুল ভবনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলীর সাথে বৈঠক করেন ইবতেদায়ির শিক্ষক নেতারা। সেই বৈঠকে শিক্ষকদের জাতীয়করণের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন দুই মন্ত্রীই। এরপরই অনশন ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন আন্দোলনকারী শিক্ষকরা। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে অনশন স্থলে এসে দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে অনশন ভাঙান শিক্ষা সচিব। এর আগে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলো জাতীকরণের দাবিতে গত ১ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন ইবতেদায়ির শিক্ষকরা। সেই সময়ে দাবি মেনে না নেওয়ায় গত ৯ জানুয়ারি থেকে আমরণ অনশন করে যাচ্ছিলেন তারা। এই ৮দিনে টানা অনশনে দুই শতাধিক শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবে অবশষে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান তারা।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে অনশনরত শিক্ষকদের উদ্দেশে শিক্ষাসচিব আলমগীর বলেন, গতকাল (সোমবার) অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আপনাদের দাবিদাওয়া নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর কথা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, দাবিদাওয়া সংক্রান্ত ও অন্যান্য তথ্য দেওয়ার জন্য। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই সংক্রান্ত তথ্য প্রস্তুত করছে। দুই-একদিনের মধ্যে আপনাদের সকল তথ্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আপনাদের প্রতি সরকার সহানুভূতিশীল। অনশন ভেঙে যার যার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলে যান। অনশন ভাঙার আহŸান করছি। এরপর শিক্ষকদের পক্ষ থেকে কর্মসূচি স্থগিতের কথা জানান স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি কাজী রুহুল আমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, সরকারের সাথে আমরা একমত। উনারা যা করার করবেন। আমরা আশা করি দাবি-দাওয়া মেনে নেবেন। এখানেই আমাদের কর্মসূচি স্থগিত করলাম। অনশন ভেঙে আমরা নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলে যাব। এরপর শিক্ষাসচিব মো. আলমগীর ও শিক্ষক নেতারা আন্দোলনরত শিক্ষকদের জুস খাইয়ে অনশন ভাঙান।
এর আগে টানা দুই সপ্তাহের আন্দোলনের পর রোববার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে তিন দফা বৈঠকে বসলেও সেই বৈঠকগুলো কোন সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয়। শিক্ষকরা সুনির্দিষ্ট ঘোষণা ছাড়া আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। অন্যদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সে সময় সুনির্দিষ্ট কোন ঘোষণা দিতে পারেনি। তবে গতকাল দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষক প্রতিনিধিদলের এক বৈঠকের পর অনশন থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষকরা। বৈঠকের পর স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক সমিতির মহাসচিব কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে পুল ভবনে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগে শিক্ষক প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়েছে। উনারা বলেছেন, আমাদের দাবির বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে গেছে, অর্থমন্ত্রীও আশ্বাস দিয়েছেন, এই অবস্থায় কর্মসূচি প্রত্যাহার করতে বলেছেন। আমরা বলেছি- অনশনস্থলে আমাদের আন্দোলনরত সকল শিক্ষকদের কাছে এই বিষয়টি ঘোষণা করা হলে কর্মসূচি পরিহার করব। এই অবস্থায় শিক্ষামন্ত্রী নিজে না এসে শিক্ষা সচিব আলমগীরকে পাঠিয়েছেন। কর্মসূচিস্থলে শিক্ষামন্ত্রী না আসার সিদ্ধান্তের বিষয়ে মোখলেছুর বলেন, এর আগে প্রেসক্লাবের সামনে নন-এমপিও শিক্ষককদের অনশনে এসেও শিক্ষামন্ত্রী আন্দোলন প্রত্যাহার না করাতে পেরে ফিরে গিয়েছিলেন, এই জন্য আজকে আমাদের এখানে আসতে তিনি বিব্রত বোধ করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।