পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিবন্ধনধারী চাকরি প্রত্যাশীদের কোটা বিহীন প্যানেলে নিয়োগ। প্রত্যাশীদের স্ব স্ব নীতিমালায় নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধন পরীক্ষা বন্ধ রাখা। ইনডেক্সধারীদের প্যানেলের অন্তর্ভুক্ত না করে আলাদা বদলির ব্যবস্থা করাসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে আন্দোলন করছে প্যানেল প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষক সংগঠন। ইতোমধ্যে এসব দাবি নিয়ে শাহাবাগ জাতীয় গ্রন্থাগার এর সামনে অনশন করছেন তারা। ৫ জুন থেকে শুরু হওয়া অনশন বর্তমানে চলমান রয়েছে। এতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন প্রায় ১০০ জন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলতে থাকবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এসব দাবি জানিয়ে তারা ইতোমধ্যে শিক্ষামন্ত্রী, এনটিআরসিসহ একাধিক দফতরে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
জানা যায়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)-এর নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন ব্যতিত কোনো ব্যক্তি কোনো পদে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের যোগ্য বিবেচিত হবে না। এরই বাস্তবায়নে প্রতি বছর অক্টোবর মাসে উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসার সংশ্লিষ্ট থানাধীন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শূন্যপদ ও বিষয় ভিত্তিক পদ জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর দাখিল করবেন এবং জেলা শিক্ষা অফিসার উক্ত তালিকার সঠিকতা যাচাই করে নভেম্বর মাসের মধ্যে এনটিআরসিএ’র অনুকূলে পাঠাবেন।
প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সনদ পেলেও সনদের মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর। ২০১৩ সালের ২০মে প্রেসিডেন্টের আদেশক্রমে হাই-কোর্টের রায়ে ১-১২তমদের সনদের মেয়াদ আজীবন করা হয়। ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর মন্ত্রণালয়ে পাশ হয় নতুন গেজেট। ২০০৬ সালে প্রকাশিত গেজেটের আলোকে পূর্ব নিবন্ধিত শিক্ষকদের নিয়োগের কোনো সুরাহা না করে এককভাবে প্রার্থী নির্বাচন করে শূন্য পদে নিয়োগ সুপারিশের উদ্দেশ্যে ১৩তমদের পরীক্ষা নেয় এনটিআরসিএ। ক্ষতিগ্রস্ত ও নিয়োগ বঞ্চিত ১-১২তমদের কিছু অংশ আদালতের দ্বারস্ত হন। এতে আটকে যায় ১৩তমদের নিয়োগ সুপারিশের কার্যμম। এনটিআরসিএ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এর মাঝে সমন্বয়হীনতা আধুনিক সময়োপযোগী একটি শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতিকে জটিল থেকে জটিল করে তুলেছে। ১৩তম, ১৪তম, ১৫তমসহ নতুন ১৬তমদের ক্ষেত্রেও সৃষ্টি হতে যাচ্ছে একই জটিলতা।
১-১৬তম সকল নিবন্ধনধারী যোগ্যতার পরীক্ষা দিয়ে সনদ অর্জন করেছে। সুতরাং সরকারের ভাব মর্যাদা সমুনড়বত রাখতে এবং কৃত্রিম শিক্ষক সঙ্কট দূরীকরণে এখন প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগের বিকল্প নেই। কৃত্রিম শিক্ষক সঙ্কট দূরীকরণে চাকরি প্রত্যাশী নিবন্ধনধারীদের এক আবেদনে ইনডেক্সধারীদের অন্তর্ভুক্ত না করে কোটা বিহীন স্ব স্ব নীতিমালায় নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধন পরীক্ষা বন্ধ রেখে প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন আন্দোলনকারীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।