Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সহকারী শিক্ষকরা চালাচ্ছেন ৬৯ প্রাথমিক বিদ্যালয়

প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য দীর্ঘদিন

প্রকাশের সময় : ১১ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সহকারী শিক্ষকরা চালাচ্ছেন ৬৯ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৭২টি বিদ্যালয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ৬৯টিতে প্রধান শিক্ষক না থাকলেও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তেমন নজর নেই। জানা গেছে, শিক্ষার মূল কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে প্রাথমিক স্তর। এখান থেকে প্রত্যেক শিশুই সব বিষয়ের সাধারণ জ্ঞান অর্জন করে। এক্ষেত্রে শিক্ষক ও অভিভাবকদের ভূমিকাও অনেক বেশি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন প্রধান শিক্ষক থাকেন। যিনি সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মনিটরিং ও অফিসিয়াল সকল কার্যক্রম দেখাশোনা করেন। তাছাড়া তিনি শ্রেণীকক্ষে সহকারী শিক্ষকদের তুলনায় পাঠকে বেশি মনোযোগী করে তোলেন। এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার ৬৯টি বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা। প্রধান শিক্ষক নেই এমন প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো হলোÑ জগিরকান্দি, অশ্বদিয়া, রানীরবাজার, সাতবাড়িয়া, সামুকসার, আবদুল্লাহপুর, নালঘর, মান্দারিয়া, পদুয়া, নারচর, গজারিয়া, ভাঙ্গাপুস্করণী, পোটকরা, ছুপুয়া, কাদৈর, কাদঘর, শুভপুর, গাছবাড়িয়া, পাশাকোট, সলাকান্দি, বসন্তপুর, খিরণশাল, ছাতিয়ানী, বাস-া, মাসকরা, করপাটি, মরকটা, জঙ্গলপুর, তারাশাইল, কালকোট, সোনাপুর উত্তর, নানকরা, লুদিয়ারা, চিওড়া বালক, চিওড়া বালিকা, নেতড়া, সাঙ্গিশ্বর, হাটবাইর, বেতিয়ারা, বিজয়করা, ডেকরা, আলকরা, বাকগ্রাম, পরিকোট, গুণবতী, রাজবলবপুর, সুরিকরা, রামপুর, ফুলের নাওড়ী, শুকচাইল, ঘোষতল, চাঁন্দকরা, ধনুসড়া, কৃষ্ণপুর-কোমারডোগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়া সদ্য জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো হলো; উত্তর বেতিয়ারা, নীলক্ষীবিষ্ণপুর, পদুয়া-খামারপুস্করণী, ফেলনা, রফিক ভূঁইয়া, উত্তর নারায়ণপুর, তালগ্রাম, আটগ্রাম, কনকাপৈত বালিকা, খিল্লাপাড়া, ঝাটিয়ারখিল, আতাকরা, কেন্দুয়া-রানীর বাজার, দুর্গাপুর ও যশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে সিনিয়র একজন ‘ভারপ্রাপ্ত প্রধান’ শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা অধিকাংশ সময় অফিসিয়াল কাজে সংশ্লিষ্ট দফতরে ব্যস্ত থাকায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বলেও জানান অনেক শিক্ষক। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৬৯টি বিদ্যালয়ের মধ্যে তিনটিতে অবসরজনিত, আটটিতে বদলিজনিত, তিনটিতে পদোন্নতিজনিত, একটিতে মৃত্যুজনিত ও চারটিতে পিআরএলজনিত কারণে প্রধান শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে। ৬৯টি বিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা শিগগিরই প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সহকারী শিক্ষকরা চালাচ্ছেন ৬৯ প্রাথমিক বিদ্যালয়
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ