পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নদ-নদী, খাল-বিল, পুকুরসহ জলাধার শুকিয়ে যাচ্ছে। জলজ প্রাণীর ঘটছে সর্বনাশ। বন-জঙ্গল উজাড় হওয়ায় বনজ প্রাণী ও পশু-পাখি শূন্য হচ্ছে। মাটির উপরের অংশ কেটে নেয়ায় প্রাকৃতিক লাঙ্গল কেঁচোসহ উপকারি জীব-অনুজীব নানাভাবে হচ্ছে ধ্বংস।
সে সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনে পরিবেশ হচ্ছে বিপজ্জনক। ষড়ঋতুর এই দেশে প্রাকৃতিক শৃঙ্খল ভেঙে পড়ার পথে। অথচ জলাধারসহ এসবের সংরক্ষণে নেই কোন পরিকল্পনা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রাকৃতিক শৃঙ্খল রক্ষা করা না গেলে ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশঙ্কা থাকবে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর মো. সাইবুর রহমান মোল্যা গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, নদীর সাথে খালের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। খাল-বিল, নালা, ডোবা শুকিয়ে যাওয়া কিংবা ভরাট হওয়ায় কচুরিপানা, শামুক, ব্যাঙ, পশু-পাখি, জলজ, উদ্ভিদ ধ্বংস হওয়ায় ইকো সিষ্টেম ভাঙছে। গাছপালা, বন জঙ্গল উজাড় হওয়াসহ মাটির উপরের অংশ কেটে নেওয়ায় অপুরণীয় ক্ষতি হচ্ছে।
তিনি বলেন, নদ-নদী শুকিয়ে নাব্যতা হারানোয় সামগ্রিকভাবে প্রাকৃতি ও সামাজিক পরিবেশের উপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তার মতে, ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বার্থে দ্রুত চারপাশের জলাধার সংরক্ষণ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ প্রাকৃতিক শৃঙ্খল সংরক্ষণে যত্মবান হওয়া উচিত। নইলে এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে আগামীতে কি ধরনের বিপর্যয় নেমে আসবে সেটি ধারণার বাইরে।
বন, পরিবেশ ও নদী বিশেষজ্ঞ এবং আবহাওয়াবিদদের অভিমত, ভূপৃষ্ঠে পর্যাপ্ত পানি না থাকলে জলীয় বাষ্পে ‘ইভাপোরেশন’ বা বাষ্পায়ন হয় না। একইভাবে গাছপালা বেশি না থাকলে জলীয় বাষ্পও কম হয়, যাতে বৃষ্টিপাত হয় না। মানুষের জীবন, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড, সভ্যতা-সংস্কৃতি, পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র সংরক্ষণে নদ-নদীর ভূমিকা অত্যন্ত বলিষ্ট ও নিবিড়। মাটি ও মানুষের স্বার্থে নদী বাঁচানোর সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। নদ-নদী বাঁচানোর ব্যবস্থা নেই।
উজান থেকে অভিন্ন নদ-নদীর পানি প্রতিবন্ধকতায় বাংলাদেশের সর্বনাশ ঘটছে। পরিবেশবিদরা বলেছেন, প্রতিবছর বৃক্ষমেলার নামে সামাজিক বনায়ন জোরদারের কথা ব্যাপকভাবে প্রচার চালানো হয়। অভিযোগ, এর ভেতর রয়েছে শুভংকরের ফাঁকি। বাহ্যিক দিক দিয়ে করা হয় শুধু বাড়াম্বর। বাস্তবে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা হয় না। ‘গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান’ এমন স্লোগানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়।
সূত্র মতে, বিকল্পপন্থা খুঁজে বের করার অভাবে কৃষি, শিল্প, মৎস্য সম্পদ, বন-জঙ্গল ও গাছাপালাসহ সামগ্রিক পরিবেশের ক্ষয়ক্ষতির কোন সীমা পরিসীমা থাকছে না।
সূত্র জানায়, নিকট অতীতেও দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা সড়কের দুইপাশে এবং হাট-বাজার কিংবা বাড়ির আঙিনায় বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ, বনজ ও ভেষজ গাছের মেলা দেখা যেত। গ্রাম ও শহরের চারপাশে দেখা যেত পুকুর, খালসহ জলাধার। এখন সেই চিত্র চোখে পড়ে না বললেই চলে। এর শূন্যতা পূরণের উদ্যোগ সংশ্লিষ্ট বিভাগ নেয় না বলে বিস্তর অভিযোগ।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, উদ্ভিদ জীব-বৈচিত্র, পরিবেশ রক্ষায় গতানুগতিকের বাইরে বের হতে হবে। একথা তো সত্য যে, সাপ, শুকর, বানর, কাঠবিড়ালি, বাজপাখি ও শকুনসহ বিভিন্ন পশু-পাখি বিলুপ্তির পথে। উজান থেকে অভিন্ন নদ-নদীর পানি প্রত্যাহারের ফলে গড় উঞ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে সারাদেশের মানুষের ভাগ্যে নেমে আসছে ভয়াবহ বিপদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।