পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধান নদ-নদীসমূহের উজানের অববাহিকায় উত্তর-পূর্ব ভারতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। দেশের অভ্যন্তরেও উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) আগমনের সাথে সাথে বাংলাদেশ এবং এর সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব ভারতের বিশাল অঞ্চলজুড়ে সক্রিয় হয়ে জেঁকে বসতে শুরু করেছে। এর ফলে আবারো বাড়ছে নদ-নদীর পানি। ভারী বৃষ্টির কারণে প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি কতিপয় স্থানে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে করে দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ফের বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া বিভাগ ও বৈশি^ক আবহাওয়া সংস্থাসমূহের পূর্বাভাসে জানা গেছে, বর্ষারোহী মৌসুমী বায়ু সক্রিয় হতেই বৃষ্টিপাতের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আসাম, মেঘালয়, অরুণাচল, সিকিম, হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হচ্ছে। যা স্থানভেদে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের হারের তুলনায় ৫০ শতাংশ থেকে দ্বিগুণ বেশি। আগামী ৩ থেকে ৪ দিন ওইসব অঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও ভারী বৃষ্টি রেকর্ড করা হচ্ছে। এতে করে প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে গতকাল রোববার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র দেশের নদ-নদী প্রবাহের অবস্থা সম্পর্কে জানায়, মোট ১০৯টি পানির সমতল পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে ৫৩টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি, ৪৭টিতে হ্রাস পায় এবং ৯টি পয়েন্টে পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। আগের দিন শনিবার ৫২টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি, ৫৪টিতে হ্রাস ও ৩টি স্থানে অপরিবর্তিত থাকে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া গতকাল নদ-নদীর পরিস্থিতি ও পূর্বাভাসে জানান, দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব প্রধান নদ-নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদ-নদীসমূহের পানির সমতল স্থিতিশীল রয়েছে।
আবহাওয়া সংস্থাসমূহের পূর্বাভাসে জানা গেছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং এর কাছাকাছি ভারতের আসাম, মেঘালয় ও হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গের কতিপয় স্থানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এর ফলে উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা ও সোমেশ^রীসহ সব প্রধান নদ-নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের প্রেক্ষিতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা, সোমেশ্বরীসহ প্রধান নদ-নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পেয়ে কতিপয় স্থানে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
গতকাল ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অনেক জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এরমধ্যে- শেওলায় (সিলেট) ১৯৪ মিলিমিটার, দক্ষিণবাগ (মৌলভীবাজার) ১৮৯ মি.মি., লাটু (সিলেট) ১৭০ মি.মি., শেরপুর (সিলেট) ১৬৫ মি.মি., সিলেট ১৪০ মি.মি., জকিগঞ্জ (সিলেট) ১৩৯ মি.মি., লালাখাল (সিলেট) ১১৪ মি.মি., সুনামগঞ্জ ১১২ মি.মি., জারিয়াজঞ্জাইল (নেত্রকোণা) ৯৬ মি.মি., কানাইঘাট (সিলেট) ৯৫ মি.মি., ছাতক (সিলেট) ৯৩ মি.মি., হবিগঞ্জ ৮৩ মি.মি. এবং উত্তরাঞ্চলের ডালিয়া (নীলফামারী) ১৩০ মি.মি., পাটেশ^রী (কুড়িগ্রাম) ১১৪ মি.মি.।
অন্যদিকে উত্তর-পূর্ব ভারতের আসামের ধুবরিতে গতকাল ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১১৬ মি.মি., মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ৬৪ মি.মি., আসামের শিলচরে ৬০ মি.মি.। আগের ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার) মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত হয় ২০৬ মি.মি., অরুণাচলের পাসিঘাটে ৭৬ মি.মি.।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।