নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দেশের জনপ্রিয় খেলা ফুটবলকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে পৃথক স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বর্তমান সরকারের। এমন তথ্য রোববার জানান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি। ওইদিন বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় আলোচনাকালে তথ্যটি জানান তিনি। এবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এবং জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএফএ) কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভায় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আশ্বাস দেন মাঠ সমস্যা সমাধানের। এ সভায় তিনি জানান, মাঠ সমস্যা সমাধানের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের প্রতিটি বিভাগে একটি করে স্টেডিয়াম নির্মাণের ইচ্ছা রয়েছে সরকারের। পরবর্তীতে জেলা পর্যায়েও আলাদা স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পানা আছে। মঙ্গলবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ টাওয়ারের অডিটরিয়ামে বাফুফে এবং ডিএফএ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভায় দেশের ফুটবলের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন জাহিদ আহসান রাসেল।
সভায় বাফুফে জেলার ফুটবল উন্নয়নে একগুচ্ছ প্রস্তাবনা দিয়েছে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে। যার মধ্যে আর্থিক ও মাঠ সমস্যার সামাধান অন্যতম। বাফুফে প্রতিটি ডিএফএ’র জন্য বাৎসরিক ১২ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে। যার ৫ লাখ টাকা জেলা লিগ আয়োজনের জন্য, ৩ লাখ টাকা ফুটবল ডেভেলপমেন্টের জন্য এবং ২ লাখ টাকা করে মহিলা ফুটবল উন্নয়ন ও অফিস খরচ বাবদ খরচ করবে ডিএফএগুলো। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আশ্বাস দেন, তিনি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে জেলার ফুটবলে এ সহায়তার চেষ্টা করবেন।
সভা শেষে নতুন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী রাসেল বলেন, ‘বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজেটের পরিমাণও বেড়েছে। দেশে ক্রিকেটের জন্য যদি আলাদা স্টেডিয়াম থাকতে পারে তবে ফুটবলের জন্য কেন থাকবে না? ফুটবলের আলাদা স্টেডিয়াম নিয়ে আমার চিন্তা রয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিটি বিভাগে যদি একটি করে স্টেডিয়াম নির্মাণ করতে পারি এবং পরবর্তীতে জেলা পর্যায়ে আলাদা স্টেডিয়াম নির্মাণ হলে দেশের ফুটবলে জাগরণ সৃষ্টি হবে। অবশ্যই আমার চেষ্টা থাকবে বিভাগীয় পর্যায়ে হলেও একটি করে স্টেডিয়াম যাতে ফুটবলের জন্য থাকে। সেটা নতুন হোক, কিংবা পুরনো। একটা স্টেডিয়াম যাতে ফুটবল পেতে পারে সে চেষ্টা থাকবে আমার।’
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘জেলা সংগঠকরাও বলেছেন- জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন এলাকায় ক্রিকেটের জন্য স্টেডিয়াম আছে। ফুটবলের জন্য কিন্তু আলাদা কোনো স্টেডিয়াম নেই এবং ফুটবলের জন্য জেলা স্টেডিয়াম কখনও কখনও বরাদ্দ পায় না। আমরা প্রতিটি ডিএসএকে চিঠি দিয়ে জানাবো, যাতে ভবিষ্যতে একটা নির্দিষ্ট সময়ে যখন তারা কোনো লিগ অথবা টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে তখন যাতে ডিএফএকে স্টেডিয়াম বরাদ্দ দেয়া হয়।’
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘ যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আজকের (কালকের) আলোচনায় প্রথমত আমরা চেয়েছি আর্থিক সহায়তা। তারপর চেয়েছি বছরে ৬ মাস যাতে ফুটবল মাঠ ব্যবহার করতে পারে-এর নিশ্চয়তা। এরপর চেয়েছি অফিস। আলোচনায় আমার মনে হয়েছে প্রতিমন্ত্রী নিজেও এ বিষয়গুলোরও উপর জোর দিচ্ছেন। সভা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।