Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টানা তৃতীয় জয়ে দ্বিতীয়স্থানে আরামবাগ

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৮:৪৯ পিএম

ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দূর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলছে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। লিগের একাদশ সংস্করণে প্রথম ম্যাচে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে হারলেও টানা তৃতীয় জয়ে তালিকার দ্বিতীয়স্থানে জায়গা পেল দলটি। রোববার ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে আরামবাগ ২-০ গোলে হারায় জায়ান্ট খ্যাত চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডকে। বিজয়ী দলের হয়ে স্থানীয় ফরোয়ার্ড আরিফুর রহমান ও ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড পল এমিল একটি করে গোল করেন। এই জয়ে চার ম্যাচে ৯ পয়েন্ট পেয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনীকে পেছনে ফেলে তালিকার দ্বিতীয়স্থানে জায়গা করে নিল আরামবাগ। সমান ম্যাচে ৫ পয়েন্ট পাওয়া চট্টগ্রাম আবাহনীর অবস্থান ষষ্ঠস্থানে। একই দিন ঢাকা ভেন্যুর খেলায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের বিপক্ষে জয় পেয়েছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব।
ময়মনসিংহ ভেন্যুটি যেন সোনায় সোহাগা আরামবাগের জন্য। রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামকে নিজেদের হোম ভেন্যু হিসেবে বেছে নিয়ে সাফল্যের জোয়ারে যেন ভাসছে কোচ মারুফুল হকের দল। শেখ রাসেলের কাছে ১-০ গোলে হারের পর আর পেছনে ফিরে তাকায়নি আরামবাগ। দ্বিতীয় ম্যাচে মিডফিল্ডার জাহিদ হোসেনের হ্যাটট্রিকে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডানকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করে তারা। পরের ম্যাচে গত লিগের চতুর্থস্থান অর্জনকারী দল সাইফ স্পোর্টিংকে ১-০ গোলে হারিয়ে জয়ের ধারায় থাকে আরামবাগ। আর চতুর্থ ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়ে লিগে হ্যাটট্রিক জয় তুলে নেয় মতিঝিলের দলটি। ফলে লিগ শিরোপার দৌড়ে শক্তভাবেই এগিয়ে চলছে মারুফুলের শিষ্যরা।
চট্টগ্রামের বিপক্ষে রোববার ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় আরামবাগ। তারপরও গোল পেতে এক ঘন্টা অপেক্ষায় থাকতে হয় তাদের। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূণ্যভাবে শেষ হলে বিরতির পর ঠিকই দু’গোল আদায় করে নেয় আরামবাগ। এই দু’গোলের নায়ক বলা চলে সাইফকে হারানো ম্যাচের একমাত্র গোলদাতা নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ম্যাথু চিনেডু। তার উৎস থেকেই আরিফুর ও পল গোল পেয়েছেন। ম্যাচের ৬১ মিনিটে ম্যাথুর কাছ থেকে বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন আরিফুর রহমান (১-০)। ৭৪ মিনিটে সেই ম্যাথুর পাস থেকেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পল এমিল (২-০)। মাত্র ১৩ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল হজম করে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি চট্টগ্রাম আবাহনী। ফলে শেষ পর্যন্ত হারের গ্লানি নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
এদিকে একই দিন বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে সাইফ স্পোর্টিং ২-১ গোলে হারায় ব্রাদার্সকে। বিজয়ী দলের হয়ে ড্যানিয়েল ও বলসেকভ একটি করে গোল করেন। সাইফের ডিফেন্ডার বাবলুর ভুলে এক গোল শোধ দেয় ব্রাদার্স। ব্রাদার্সের একটি আক্রমণ ফেরাতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল ঠেলে দেন বাবলু। এই জয়ে চার ম্যাচে ৯ পয়েন্ট পেলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে তালিকার চতুর্থস্থানে জায়গা হলো সাইফের। তিন ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে নবমস্থানে আছে ব্রাদার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফুটবল

২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ