পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চা-চক্রের নিমন্ত্রণে না গিয়ে বিএনপি আলোচনার সুযোগ হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম হানিফ।
তিনি বলেন, যে কারো নিমন্ত্রণ গ্রহণ করা শিষ্টাচারের অংশ। কিন্তু বিএনপি শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ দেখিয়ে চা-চক্রে গেলো না। সেখানে আলোচনার সুযোগ ছিল আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে। সে সুযোগ বিএনপি হারিয়েছে।
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।
স্মরণসভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, সৈয়দ আশরাফ বিরল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। রাজনৈতিক জীবনে তিনি স্বল্পভাষায় প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতারর পরিচয় দিয়েছেন। কোনো কাজ একা নিজে করতেন না, সবাইকে নিয়ে কাজ করেছেন। তার পিতাকে হত্যার পরে আশরাফ ভাই লন্ডনে চলে যান। অনেক কষ্টে লেখাপড়া করেছেন। দলের প্রয়োজনে দেশে ফিরে কাজ করেছেন।
হানিফ বলেন, আমরা অবাক হই, যখন বিএনপি কথায় কথায় মামলা নির্যাতনের কথা বলে। যখন আশরাফ ভাইয়ের বাবা জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ অন্য নেতাদের কারাগারে হত্যা করা হলো, সেনাবাহিনীর ১২ শতাধিক অফিসার হত্যা করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। সেসময় পিতা হত্যার বিচার না পেয়ে দেশ ছেড়ে ছিলেন আশরাফ ভাই। তখন কোথায় ছিল বিএনপির বিবেক?
তিনি আরও বলেন, আজকে বিএনপির ফখরুল ইসলামরা নেতিবাচক রাজনীতি করছেন। ক্ষমতা থেকে তাই তারা অনেক দূরে, জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাদের নেতিবাচক রাজনীতি এভাবে চলতে থাকলে তাদের সঙ্কট আরও বাড়বে। মুসলিম লীগ যেমন পাকিস্তান আমলের পর হারিয়ে গেছে, নিজেদের ভুল না শোধরালে বিএনপিরও একই দশা হবে।
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বিএনপিকে অংশ নেবার আহ্বানও জানান তিনি।
স্মরণসভার প্রধান আলোচকের বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, প্রবাসে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে সৈয়দ আশরাফ ভাইয়ের ভূমিকা ছিল অতুলনীয়। তৃণমূলের সাথে কীভাবে সুসম্পর্ক বজায় রেখে দল চাঙ্গা রাখতে হয় তা তিনিই দেখিয়ে গেছেন। একজন রাজনীতিবিদের কাছে আমরা যা যা দেখতে চাই, সেসবই ছিল আশরাফ ভাইয়ের মধ্যে। নির্মোহ থেকে কীভাবে কাজ করতে হয় তা তিনিই দেখিয়ে গেছেন। আজ তিনি নেই, তবে তার আদর্শ আছে। আমরা তার জীবনকে আদর্শ হিসেবে অনুসরণ করতে পারি। তরুণ প্রজন্মের জন্য তিনি উত্তম আদর্শ।
নেতিবাচক রাজনীতির বিপরীত মানুষ সৈয়দ আশরাফ ভাইয়ের রাজনৈতিক আদর্শ দেখে বিএনপিও শিক্ষা নিতে পারে উল্লেখ করে ডা. দিপু মনি বলেন, আশরাফ ভাই ব্যক্তি কিংবা কোনো দল বিদ্বেষী ছিলেন না। যে নেতিবাচক রাজনীতি বিএনপি করছে সেখান থেকে সরে আসার জন্য আশরাফ ভাইয়ের জীবনী থেকে শিক্ষা নেবার জন্য বিএনপি'র প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, সৈয়দ আশরাফ স্মরণীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি মানুষকে ভালবাসতেন। তিনি অন্যায়ের কাছে মাথানত করেননি। খারাপ আচরণের অভিযোগ কখনও পাইনি। তিনি এলাকায় ছিলেন গ্রহণযোগ্য নেতা। বেশ কয়েকবার এমপি হয়েছেন সাধারণ মানুষের ভালবাসায়।
স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. রিয়াজউদ্দিন রিয়াজের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, চাঁদপুর-২ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জেড আর ওয়াদুদ টিপু, ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।