Inqilab Logo

শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রেলওয়ের উচ্ছেদ অভিযান

কমলাপুর থেকে দয়াগঞ্জ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম | আপডেট : ১২:৩৩ এএম, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথের কমলাপুর থেকে দয়াগঞ্জ বাজার পর্যন্ত রেললাইনের দুই পাশের প্রায় দুই কিলোমিটার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, গত শুক্রবার সকালে অভিযান শুরু হয় কমলাপুর টিটিপাড়া বস্তি থেকে। গোপীবাগ কে এম দাস লেনের বাজার ও বস্তি, গোলাপবাগ, সায়েদাবাদ, গেন্ডারিয়া, দয়াগঞ্জ বাজার পর্যন্ত উচ্ছেদ সম্পন্ন করা হয়। রেলওয়ে পুলিশের সঙ্গে উচ্ছেদ অভিযানে সহযোগিতা করে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আরএনবি।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন রেলওয়ে (পূর্ব) বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম। হঠাৎ করে বড় পরিসরে এই ধরনের অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ এবং ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ডাবল লেন করার জন্য রেলওয়ের জায়গা খালি করতে হচ্ছে। অনেক দিন ধরে জায়গা খালি করে দেওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেউ তোয়াক্কা করেনি।
ওই কর্মকর্তা জানান, অভিযানে কমলাপুর থেকে দয়াগঞ্জ বাজার পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটারের মতো রাস্তার অবৈধ স্থাপনা সরানো হয়েছে। আগেও অনেকবার রেললাইনের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে কিন্তু জায়গা দখলমুক্ত রাখা যায়নি। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হলে জায়গা আবার দখল হয়ে যায়। এই প্রকল্প দেরি হলেই দেখবেন জায়গা আবার দখল হয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে আমাদের আবারও ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন, এভাবে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে আমাদেরও কষ্ট হয়। অভিযান পরিচালনা প্রসঙ্গে এক কর্মকর্তা বলেন, গত ছয় মাস ধরে আমরা দফায় দফায় এসে নোটিশ দিয়ে গেছি। কিন্তু কে শোনে কার কথা। অনেক সময় দিয়েও কেউই তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেয়নি। এতে আমরা বড় ধরনের উচ্ছেদ অভিযান চালাতে বাধ্য হয়েছি।
প্রায় সাতটি পয়েন্ট ও তিনটি বাজারসহ কমলাপুর টিটি পাড়া থেকে দয়াগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটারের মধ্যে এই উচ্ছেদ অভিযান চলে। এর মধ্যে ছিল, টিটিপাড়ার রেল লাইনের পাশে গড়ে ওঠা বস্তি, গোপীবাগ রেললাইন সংলগ্ন বাজার, গোলাপবাগ কে এম দাস লেন সংলগ্ন বাজার, সায়েদাবাদ কে এম দাস লেন বাজার, কে এম দাস লেন সংলগ্ন অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বাড়ি, দয়াগঞ্জ বাজার, দয়াগঞ্জ রাস্তার দুই পাশের প্রায় দুইশ এর মতো বাড়ি। গেন্ডারিয়া রেললাইনে গড়ে ওঠা বস্তি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রেল

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ