মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার করা এক প্রতিবেদনে ইরানের পক্ষ নিয়ে কথা বলা হয়। সেখানে বলা হয়- ইরান চুক্তি লঙ্ঘন করে পরমাণু অস্ত্র বানাচ্ছে না। আর এতেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রোষানলে পড়লেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। গোয়েন্দা প্রধানেরা চরম আনাড়ি ও নিষ্ক্রিয় মন্তব্য করে ট্রাম্প বলেন, ‘আপনারা আবার স্কুলে ফিরে যান।’ বুধবার এক টুইট বার্তায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানদের উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প এমন বিষোদগার ও কটাক্ষ করেন। খবর দা হিল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা বিভাগসহ অন্যান্য গোয়েন্দা এবং গুপ্তচর সংস্থা বিশ্বজুড়ে কোথায় কোথায় সম্ভাব্য হুমকি রয়েছে তা নিয়ে ওই রিপোর্ট ট্রাম্প সরকারকে দিয়েছিল। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ইরান কোন ধরনের পরমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে না। তারা চুক্তি লঙ্ঘনও করেনি। বরং, উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি এখনও বিদ্যমান রয়েছে। পিয়ংইয়ং পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি ত্যাগে প্রস্তুত নয়। এ বিষয়ে ট্রাম্পের দাবি, ইরানের কাছ থেকে বিপদ সম্পর্কে গোয়েন্দাদের পর্যবেক্ষণ একেবারই ভুল। ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। ইরানের রকেট পরীক্ষাই তার প্রমাণ বলে জানান তিনি।
প্রেসিডেন্টের এমন বিষোদগারে চুপ ছিলেন না সিআইএর সাবেক প্রধান জন ব্রেনান। সাবেক সিআইএ প্রধান জন ব্রেনান পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘গোয়েন্দা রিপোর্টকে এভাবে প্রত্যাখ্যান ও কটাক্ষ করে ট্রাম্প প্রমাণ করছেন যে গোয়েন্দারা নন, তার নিজেরই বুদ্ধিতে ঘাটতি আছে। ইরান, উ.কোরিয়া, আইএসআইএস, রাশিয়া এবং অন্যান্যদের নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সর্বসম্মতিক্রমে করা প্রতিবেদনকে প্রত্যাখান আপনার বুদ্ধিমত্তার বিলোপকেই তুলে ধরছে।’ ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে ব্রেনান বলেন, ‘সব আমেরিকান, বিশেষত কংগ্রেস সদস্যদের বুঝতে হবে, আমদের জাতীয় নিরাপত্তাকে আপনি কতটা হুমকির মুখে ফেলেছেন।’
সরকারকে দেয়া জাতীয় নিরাপত্তা বিভাগসহ অন্যান্য মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার এমন রিপোর্টে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছেন ট্রাম্প। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে করা পারমাণবিক অস্ত্র থেকে বিরতি চুক্তিকে ট্রাম্প একতরফা প্রত্যাহার করে নেন। সে সময় ইরানের ওপর কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন তিনি। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে তারই গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন রিপোর্ট এলো এখন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।