Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ

গ্রেফতার বা ক্ষতির ফল হবে ভয়াবহ : যুক্তরাষ্ট্র

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

ভেনেজুয়েলার সুপ্রিম কোর্ট জুয়ান গুয়াইদোর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও সকল ব্যাংক একাউন্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র গুয়াইদোকে গ্রেফতার বা তার কোনো ক্ষতি করা হলে তার ফল ভয়াবহ হবে বলে হুমকি দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট মাদুরো বলেছেন, ভেনেজুয়েলার তেল সম্পদ লুটে নেয়াই যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য।
ভেনেজুয়েলার এটর্নি জেনারেল তারেক উইলিয়ম সাব মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেন, স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট জুয়ান গুয়াইদোর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও তার সকল ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। সরকার গুয়াইদোর উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ তথা দেশের বাইরে না যেতে দেয়া ও তার সকল ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানোর পর সুপ্রিম কোর্ট এ আদেশ দেয়। সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, গুয়াইদোর আর্থিক লেনদেনও করতে পারবেন না।
তিনি বলেন, ২২ জানুয়ারি থেকে দেশে সংঘটিত বিভিন্ন সহিংস ঘটনার উস্কানি দেয়ার জন্য গুয়াইদোর বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত শুরুর জন্যও সুপ্রিম কোর্ট আদেশ দিয়েছে। এ ব্যাপারে কাজ শুরু হয়ে গেছে। এ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। উল্লেখ্য, বিরোধী নেতা জুয়ান মাদুরো ২৩ জানুয়ারি নিজেকে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ তার কয়েকটি মিত্র দেশ তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়া মাদুরোকে জোর সমর্থন দিচ্ছে। তারেক ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপকারী দেশগুলোকে সাহায্য করার জন্যও গুয়াইদোকে অভিযুক্ত করেন।
সাবের ঘোষণার কয়েক মিনিট পরই গুয়াইদো বলেন, তিনি গ্রেফতার হওয়ার আশংকাকে খাটো করে দেখছেন না। কারাকাসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমরা আমাদের কাজ চলিয়ে যাব ও মানবিক সংকট মোকাবেলা করব।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র হুমকি দিয়েছে যে ভেনেজুয়েলা ‘প্রেসিডেন্ট’ গুয়াইদোকে গ্রেফতার বা তার কোনো ক্ষতি করলে তার ফল ভয়াবহ হবে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন মঙ্গলবার টুইটে এ হুমকি দিয়ে বলেন, অবৈধ কারাকাস সরকার (তার ভাষায়) যেন গুয়াইদোর দিকে একটি আঙ্গুলও না তোলে। তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্র ধ্বংস ও গুয়াইদোর ক্ষতি করার চেষ্টা করবে তাদের পরিণতি ভয়াবহ হবে।
নিকারাগুয়ার এটর্নি জেনারেল তারেক সাব গুয়াইদোর বিরুদ্ধে সাংবিধানিক নির্দেশের প্রতি হুমকি সৃষ্টিকারী অপরাধের জন্য তদন্ত করা হবে বলার পর বোল্টনের এ হুমকি এল।
সোমবার বোল্টন ও অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মনুচিন ঘোষণা করেন যে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ-র সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করবে এবং সে অর্থ গুয়াইদো বা যুক্তরাষ্ট্র অনুমোদিত ভেনেজুয়েলার নতুন কোনো সরকারের ব্যবহারের জন্য দেয়া হবে।
এদিকে নিজের নোটপ্যাডে বোল্টনের একটি লেখা ‘কলম্বিয়ায় ৫ হাজার সৈন্য’ বিরাট বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। তবে কী যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার প্রতিবেশী দেশ কলম্বিয়ায় সৈন্য প্রেরণ করছে? তবে বোগোটা সরকার বলেছে, মার্কিন সৈন্য আসার কোনো কথা তাদের জানা নেই।
এদিকে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো রুশ সংবাদ মাধ্যম স্পুটনিককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ বলেছেন, ভেনেজুয়েলাকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হম্বিতম্বির ম‚ল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশটির তেল এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদ লুটে নেয়া। ম্পুটনিক তার এ সাক্ষাতকারটি বুধবার প্রচার করে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু উদ্দেশ্য আছে। তাদের প্রথম উদ্দেশ্য হচ্ছে ভেনেজুয়েলার তেল লুটে নেয়া। কারণ আমাদের কাছে এই মুহ‚র্তে বিশ্বের সর্বাধিক সার্টিফায়েড তেলের রিজার্ভ আছে। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি স্বর্ণের রিজার্ভও আমাদের হতে যাচ্ছে।
মাদুরো বলেন, বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ গ্যাসের রিজার্ভ আমাদের। হীরার বিশাল মজুদ আছে। এছাড়াও সুস্বাদু পানি, অ্যালুমিনিয়াম, লোহা এবং কোল্টনের পর্যাপ্ত মজুদ আছে ভেনেজুয়েলার। আমার জ্বালানি ও প্রাকৃতিক সম্পদের মাঠে বড় ধরনের এক শক্তি।
ভেনেজুয়েলায় রুশ ভাড়াটে সৈন্যরা কাজ করছে বলে প্রকাশিত খবর বিষয়ে মাদুরোকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না বলে জানান। সূত্র : খবর আল জাজিরা, স্পুটনিক ও আরটি।



 

Show all comments
  • Bellal Hossain GP ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
    GOOD
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Khan ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:১৩ এএম says : 0
    ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, ইয়েমেন ধবংস করার পর এবার ভেনিজুয়েলার পালা । কখন যে বাংলাদেশের দিকে এদের চোখ পরবে আল্লাহই জানেন !!!!
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:১৩ এএম says : 0
    হায় খোদা ! এদের দুরাবস্থা দেখি আমাদের সঙ্গে মিলে গেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • তারেক রহমান ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:১৫ এএম says : 0
    মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করা হোক,,,,, আমেরিকার উচিত এই মূহুর্তে তাকে সাবেক পানামার প্রেসিডেন্ট নরিয়াগার মতো কোমড়ে দড়ি পড়িয়ে হেলিকপ্টার এ করে আমেরিকায় নিয়ে এসে কারাগারে বন্দী করা ।।।।।
    Total Reply(0) Reply
  • Zahed Alam ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:১৬ এএম says : 0
    ভেনেজুয়েলার তেল সম্পদের উপর মার্কিনীদের কুনজর বহুদিন ধরে। তাই মাদুরোকে সরিয়ে একটি তাবেদার সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
    Total Reply(0) Reply
  • Mujibur Rahman ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:১৬ এএম says : 0
    সব সেনাবাহিনী মাদুরোর পাশে নাই , শুধু মাত্র বাংলাদেশের মতো কিছু অনৈতিক , বেঈমান , দুর্নীতিবাজ সোনা-বাহিনী আছে যারা এখনো মাদুরোর পাশে এখনো ! একটা বিটার দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক অংশ স্বৈরাচারী মাদুরোর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে !
    Total Reply(0) Reply
  • Abubakkar Siddik Siddik ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:১৭ এএম says : 0
    খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ দেশগুলোর উপর তথাকথিত পরাশক্তি দেশগুলোর আলাদা একটা প্ল্যান থাকে। ভেনিজুয়েলাকে নিয়ে রাশিয়া চীন তুরস্ক ও ইরানের স্বার্থগত মিল আছে। অন্যদিকে আমেরিকা ও তার পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো ভেনিজুয়েলায় একটি স্বার্থ খোজে, যেটা নিকোলাস মাদুরো ক্ষমতায় থাকলে হবেনা। কিন্তু মাদুরো রুশ চীন তুর্কি ও ইরানিদের বন্ধু। রুশ জোট চাচ্ছে মাদুরো ক্ষমতায় থাক। আর মার্কিন জোট চাচ্ছে মাদুরো বিদায় নিক। আমি সাধারণ মানুষ হিসাবে বলব এখানে রুশ মার্কিন দ্বন্দ্বটা গ্রহণযোগ্য নয়। ভেনিজুয়েলার সাধারণ মানুষ কাকে ক্ষমতায় দেখতে চায় সেটাই গ্রহণযোগ্য।
    Total Reply(0) Reply
  • Mofazzal Hossain ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:১৭ এএম says : 0
    বর্তমান সময়ে আসলে কেউ এমেরিকাকে বন্ধু হিসাবে দেখতে চাই না কারন সে যার বন্ধু হয়েছে তার ক্ষতির করার জন্য অন্য কারেো আর প্রয়োজন হয়নি সে একাই যথেষ্ঠ্য হয়েছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Rabiul Islam ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:১৮ এএম says : 0
    আজকাল রাজনীতিতে যে যখন ক্ষমতায় আসে সে তখন তার চৌদ্দ গোষ্ঠিকে রাষ্ট্রিয় ক্ষমতার বড় পদেগুলোতে বসিয়ে দেন। তখন তার মা বাবা,ভাই বোন, ছেলে মেয়ে, নাতি নাতনী, বিয়াই বিয়াইন এমন কি ঘরের আসবাবপত্রও বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠে। যদিও বাস্তবে তাদের রাজনীতির বা বড় বড় আমলাত্বের জ্ঞানের ভান্ডার শূন্যেরও কম থাকে। তাই বোঝাই যায় ভেনুজুয়েলায় মাদুরো মানে সেনাবাহিনী, সেনাবাহিনী মানেই মাদুরো। অর্থাৎ মুদ্রার এপিটওপিট।
    Total Reply(0) Reply
  • Shawn Hossain ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:১৮ এএম says : 0
    Venezuela has become a hardcore socialist state under Maduro. It has been proven many times before that state socialism does not work. Venezuela must get rid of state socialism / communism immediately otherwise the situation gonna get worse and Venezuelans will continue to starve.
    Total Reply(0) Reply
  • Anamika Chy ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:১৯ এএম says : 0
    তারা আমরিকার প্রভাব থেকে দেশকে বাচাতে চাই,তা চাড়া ভেনেজুয়েলার জনগণ আমরিকা বিরুদি তাই তারা জনগনের পাশে দাড়িয়েছে?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভেনেজুয়েলা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ