Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উত্তর-পূর্ব ভারতে দশটি রাজনৈতিক দলের জোট

সিটিজেনশিপ বিলের প্রতিবাদ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

বিজেপির জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সিটিজেনশিপ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল। বিলটির বিরুদ্ধে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় শহর গোয়াহাটিতে একজোট হয়েছে দশটি রাজনৈতিক দল, যাদের মধ্যে বিজেপির সাবেক ও বর্তমান মিত্র দলগুলোও রয়েছে।
‘উত্তরপূর্বাঞ্চলের জনগণের স্বার্থে’ বিলটির বিরুদ্ধে যে জোট গড়া হয়েছে, তার মধ্যে কিছু দল বিজেপি-নেতৃত্বাধীন নর্থ ইস্ট ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্সের অংশ। প্রস্তাবিত এই আইনের বিরুদ্ধে উত্তরপূর্বাঞ্চলের মানুষ প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছে।
জোটবদ্ধ দলগুলো হলো অসম গণ পরিষদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা, নাগা পিপলস ফ্রন্ট, মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট এবং ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি। এই দলগুলো সবাই কংগ্রেস বিরোধী।
এনপিপি প্রেসিডেন্ট এবং মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বলেছেন, “একটা জাতীয় প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে কারণ আমরা বুঝতে পেরেছি এই বিলের বিরুদ্ধে আমাদেরকে একজোট হয়ে প্রতিবাদ করতে হবে”।
বৈঠকের আহ্বায়ক ছিলেন সাংমা। তিনি আরও বলেন, ‘বৈঠক থেকে প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে তাদেরকে এটা প্রত্যাহার করে নেয়ার আবেদন জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে”। এই বিলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিমদের ভারতের নাগরিকত্ব দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। এই বিলের কারণে উত্তরপূর্বাঞ্চলের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে যে, এ অঞ্চলে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে। বিলটি এরই মধ্যে লোকসভায় পাস হয়েছে এবং আগামী ৩১ ডিসেম্বর রাজ্য সভায় যে বাজেট অধিবেশন শুরু হতে যাচ্ছে, সেখানে এটার উপর ভোটাভুটির কথা রয়েছে।
মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী এবং এমএনএফ প্রেসিডেন্ট জোরামথাঙ্গা বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার যে বিলটি পাস করার চেষ্টা করছে, সেটার নিন্দা জানানোর এবং সেটার পুরোপুরি বিরোধিতা করার ব্যাপারে শক্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা”।
একটি এনজিও বিলটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানানোর পর মিজোরামে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান বয়কট করে মানুষ। কিন্তু এই বিরোধিতার পরও রাজনৈতিক দলগুলো এই বিষয়টিকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের সাথে মেলাচ্ছে না এবং বিজেপির সাথে জোটের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার ব্যাপারেও তারা কিছু বলছে না। এজিপির প্রেসিডেন্ট অতুল বোরা বলেছেন, “আমরা খুশি যে, আলাদাভাবে বিরোধিতা না করে, আমরা একটি বিশেষ ইস্যুতে সবাই একত্র হতে পেরেছি”। বিলটির বিরোধিতার কারণে গত ডিসেম্বরে আসামে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার থেকে বেরিয়ে এসেছে এজিপি। কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপি বার বার দাবি করে আসছে যে বিলটিতে স্থানীয় সম্প্রদায় এবং তাদের সংস্কৃতি রক্ষার জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ