প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
সুরশ্রষ্টা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের সর্বশেষ সৃষ্টি বৈশাখী টেলিভিশনের সূচনা সংগীত। এ গান নিয়ে দারুণ আবেগপ্রবণ ছিলেন তিনি। কারণ, এ গানের মিউজিক ভিডিওতে তার পারফর্ম করার কথা ছিল। সব আয়োজন সম্পন্ন ছিল কিন্তু পারফর্ম করা হলো না আর। হঠাৎ করেই চলে গেলেন তিনি। গানটির মুখ হলো- লাল সবুজের এই দেশে/ স্বপ্ন আসে ভেসে/ পাখির গানে সূর্য ওঠে/ আমার বাংলাদেশে। আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের অসাধারণ সুর সংগীতে এ গানে কণ্ঠ দেন নতুন প্রজন্মের ৮ জন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী। এরা হলেন লিজা, মুহিন, পুতুল, নন্দিতা, স্মরণ, হৈমন্তী রক্ষিত মান, ইউসুফ, এবং বংশীবাদক জালাল আহমেদ। গানের গীতিকার বৈশাখী টেলিভিশনের অনুষ্ঠান ও বিপণন উপদেষ্টা বেনু শর্মা। বৈশাখী টেলিভিশনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলনের তত্ত¡াবধানে এ গানের উদ্যোক্তা হলেন বৈশাখী টেলিভিশনের হেড অব নিউজ অশোক চৌধুরী। গানটি নিয়ে তিনি বলেন, ‘এত বছরের একটি চ্যানেল অথচ কোনো টাইটেল সং নেই এটি মনে হয় ঠিক না। মূলত: এমন ভাবনা থেকেই এ কাজটি করার জন্য আগ্রহী হই। এরপর বেনু দা‘র লেখা কথাগুলোও ভালো লাগে। টাইটেল সংয়ের জন্য উপযুক্ত মনে হয়। কাজটি আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের মতো গুণী মানুষকে দিয়ে করাতে পারলে ভালো হয়। দাদাও তার সঙ্গে কথা বলেন। আমিও বেশ কয়েকবার দেখা করি বুলবুল ভাইয়ের সঙ্গে।’ গানটির গীতিকার বেনু শর্মা বলেন, ‘সম্ভবত ডিসেম্বর মাসের কথা। হেড অব নিউজ অশোক দা (অশোক চৌধুরী) বলছিলেন, আমাদের দেশে কোনো স্যাটেলাইট টিভিরইতো টাইটেল সং নেই। আমরা একটা ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিতে পারি। আমরা আমাদের বৈশাখী টিভির জন্য একটা টাইটেল সং করতে পারি। ডিএমডি সাহেবও সম্মতি দেন। গানটি লিখে বুলবুল ভাইয়ের কাছে নিয়ে যাই। গানটি নিয়ে তার উচ্ছ¡াস দেখে খুব ভালো লাগে। আমাদের স্বপ্নের জায়গাটা যেন স্পর্শ করেন বুলবুল ভাই। প্রথম ভেবেছিলাম এ গানটি গাইবেন সিনিয়র শিল্পীগণ। সে অনুযায়ী ২০ জন গুণী শিল্পীর তালিকাও তাকে দিয়েছিলাম। কিন্তু সিনিয়র শিল্পীদের নিয়ে এ কাজটি করার পক্ষে তিনি ছিলেন না। তিনি বললেন, এ গানটি গাইবে নতুন প্রজন্মের জনপ্রিয় শিল্পীরা। খুব কষ্ট লাগছে, যে গান নিয়ে তিনি এত আবেগপ্রবণ ছিলেন সেই গানে তিনি পারফর্ম করতে পারলেন না, শেষটা দেখে যেতে পারলেন না।’ গানের রেকর্ডিস্ট সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার ফয়সাল বিন ফিরোজ রোজেন বলেন, আমার দেখা গত তিন বছরে বুলবুল ভাই এ গানের জন্য যত সময় দিয়েছেন এবং যত যতœ নিয়ে কাজটি করেছেন, অন্য কোনো গানের ক্ষেত্রে এমনটি দেখিনি। এ গানটি নিয়ে তার অনেক আশা ছিল। ৯ জন ভায়োলিন শিল্পীসহ অর্ক্রস্টো দলকেও ঠিক করে রেখেছিলেন তিনি। প্রচÐ দেশপ্রেম আর মিউজিক ভিডিওতে তার পারফর্ম করার কথা ছিল বলেই হয়তো তার এত যতœ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।