Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গীতিকবি সুরকার ও কণ্ঠশিল্পীদের নিয়ে গঠিত হলো সংগীত ঐক্য বাংলাদেশ

বিনোদন রিপোর্ট: | প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ এএম

গত ৫০ বছর ধরে গীতিকবি, সুরস্রষ্টা ও কণ্ঠশিল্পীরা নানা অনিয়ম, অবহেলা আর প্রাপ্য সম্মান ও সম্মানী থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে গীতিকবি, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পীরা এবার এক ছাতার নিচে এলেন। গঠন করেছেন, ‘সংগীত ঐক্য বাংলাদেশ’। গত শনিবার সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে। ওয়েবনিয়রের মাধ্যমে আয়োজিত এই সম্মেলনে ঘোষণা করা হয় সংগঠনটির প্রথম কার্যনির্বাহী কমিটি। সিঙ্গার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর সাধারণ সম্পাদক কুমার বিশ্বজিৎ এই কমিটি ঘোষণা করেন। সংগীত ঐক্য বাংলাদেশ-এর প্রথম কমিটির সভাপতি রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, মহাসচিব (৩ জন) শহীদ মাহমুদ জঙ্গী, নকীব খান ও কুমার বিশ্বজিৎ, অর্থ ও দফতর সচিব আসিফ ইকবাল, তথ্যপ্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সচিব হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল, সাংস্কৃতিক সচিব বাপ্পা মজুমদার, প্রচার ও প্রকাশনা সচিব জুলফিকার রাসেল এবং নির্বাহী সদস্য মানাম আহমেদ, কবির বকুল, শওকত আলী ইমন ও জয় শাহরিয়ার। গীতিকবি সংঘের সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার রাসেলের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিঙ্গার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর সভাপতি রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। তিনি বলেন, এই মুহূর্তটি আমাদের সকলের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। কিছুদিন আগে সিঙ্গার্স অ্যাসোসিয়েশন করেছি। বিগত দিনের অভিজ্ঞতায় শিখেছি এখন আমাদের এক হয়ে কাজ করার বিকল্প নেই। যেকোনও বিপদে ও সংকটে পরস্পরের পাশে দাঁড়ানোর বিকল্প নেই। আমাদের আরও দুটি সংগঠন হয়েছে। তিনটি আলাদা সংগঠন হলেও এক হয়ে এরমধ্যে অনেক কাজ করেছি আমরা। আজকে এই সংবাদ সম্মেলনের কারণ সেই এক হয়ে কাজ করার বিষয়টি সাংগঠনিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সংগীত ঐক্য বাংলাদেশ গঠনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে মিউজিক কমপোজার্স সোসাইটির সভাপতি নকীব খান বলেন, সার্বিক সংগীতের মান উন্নয়ন, সম্মান ও সম্মানীর জন্য আমরা একসঙ্গে লড়াই করার প্রত্যয় নিয়েই এই প্ল্যাটফর্ম গঠন। এটা অরাজনৈতিক ও অলাভজনক সংগঠন। সংগীতের সকল পক্ষকে আস্থায় নিয়ে কাজ করে যাওয়ার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নিশ্চিত করার চেষ্টা করবো আমরা। আমাদের স্বপ্ন সংগীতের পাশাপাশি দেশের প্রয়োজনে জনগণের জন্যেও কাজ করার। সংগীত ঐক্য বাংলাদেশ-এর গঠন প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে গীতিকবি সংঘের সভাপতি শহীদ মাহমুদ জঙ্গী বলেন, গত বছর এই সময়টাতেই আমাদের তিনটি সংগঠন সৃষ্টি হয়েছে। আমরা লক্ষ্য করেছি, নিজ নিজ দাবির মধ্যে কিছু অভিন্ন দাবি আছে। আমরা ১৭ দফা তৈরি করি। এরপর সবাই মিলে মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করি। চিন্তা করলাম, কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে এক জায়গায় আসতে হবে আমাদের। সম্পর্ক উন্নয়ন করতে হবে গীতিকবি, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পীদের মধ্যে। তাই তিনটি সংগঠন রেখেই একটি ফেডারেল সংগঠন করার পরিকল্পনা করি সবাই। যেটার নাম হলো সংগীত ঐক্য, বাংলাদেশ। তিনটি সমিতি থেকে ৪ জন করে প্রতিনিধি নিয়েছি। একটা নির্বাহী কমিটি করেছি। আমাদের ইচ্ছা বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় সংগীতের প্রতিটি মানুষের মাঝে একটা যোগসূত্র তৈরি হোক। উল্লেখ্য, গত বছর ৩ জুলাই দেশে প্রথমবারের মতো গঠিত হয় গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশ। এই সংগঠনের সূত্র ধরেই সৃষ্টি হয় রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার নেতৃত্বে সিঙ্গার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং নকীব খানের নেতৃত্বে মিউজিক কমপোজার্স সোসাইটি। গত এক বছর এই তিনটি সংগঠন নিজস্ব সাংগঠনিক কাজের বাইরে যৌথভাবে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও কপিরাইট বোর্ডের সঙ্গে বসে। মূলত তারই সাংগঠনিক রূপ সংগীত ঐক্য বাংলাদেশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সংগীত ঐক্য বাংলাদেশ
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ