বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থেকে অপহরণের চারদিন পর এক কিশোরকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)-১৪ এর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা। গত মঙ্গলবার ভোর সকালে ময়মনসিংহের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই কিশোরকে উদ্ধার করে র্যাব। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে র্যাব-১৪ এসব তথ্য জানিয়েছে।
উদ্ধার হওয়া কিশোরের নাম জিতু মিয়া। সে বিজয়নগর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের আল আমিনের ছেলে। এর আগে অপহরণের সাথে জড়িত সন্দেহে গত সোমবার রাত নয়টার দিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার দুর্জয় মোড়ে অভিযান চালিয়ে লোকমান হোসেন (৪০) ও ফুরকান খাদেমকে আটক করে র্যাব। পরে মঙ্গলবার ভোর সকাল চারটার দিকে ময়মনসিংহ থেকে চাঁন মিয়া (৩২), আজিজুল হাকিম (২২), খায়রুল ইসলাম (২২), আলমগরি হোসেন (২২) ও এরশাদ আলীকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়।
এঘটনায় মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সমস্ত ঘটনা বলেন ভৈরব র্যাব-১৪ এর কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের। র্যাব সূত্রে জানা গেছে, অপহরণের দুই দিনপর অজ্ঞাত একটি নম্বর থেকে জিতুর পিতা আল আমিনের কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে অপহরণকারীরা। বিষয়টি অপহৃতের পরিবার র্যাবকে অবহিত করেন। গত সোমবার রাত নয়টার দিকে র্যাব-১৪ এর কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের ও সিনিয়র অতিরিক্ত সহকারী পরিচালক চন্দন দেবনাথের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে অপহারণকারী দলের দুই সদস্য লোকমান ও ফুরকানকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদ অপহরণকারী দলের অন্যান্য সদস্য ও অপহৃত কিশোর ময়মনসিংহ জেলায় রয়েছে বলে র্যাবকে জানায় আটক দুই সদস্য। তাদের দেয়া তথ্য মতে র্যাব সদস্যরা অপহৃত কিশোরকে উদ্ধার করতে ময়মনসিংহের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সংলগ্ন বিসিএস কনফিডেন্সের হলরুমে যান। পরে মঙ্গলবার ভোরে চারটার দিকে র্যাব-১৪ সেখানে অভিযান চালিয়ে অপহৃত কিশোর জিতুকে উদ্ধার করে এবং ঘটনাস্থল থেকে বাকি পাঁচ অপহরণকারীকে আটক করে র্যাব সদস্যরা।
র্যাব-১৪ এর কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের বলেন, অপহৃতের বাবা আল আমিনের সঙ্গে লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে চাঁন মিয়ার মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। তাই চাঁন মিয়া অপহরণকারী অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে কিশোর জিতুকে অপহরণ করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।