Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যানজট এড়াতে মহাখালীতে নতুন ফ্লাইওভার

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১১:২৬ এএম

রাজধানীর যানজট এড়াতে এবার এয়ারপোার্ট থেকে মহাখালী পর্যন্ত আরও একটি ফ্লাইওভার নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে সড়ক ও জনপদ অধিদফতর। ১০ কিলোমিটার সড়কে বাস র‌্যাপিড ট্রাননজিট (বিআরটি) লেন নির্মাণের অংশ হিসাবে এটি নির্মাণ করা হবে।
রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এয়ারপোর্ট টু মহাখালী সড়ক। তবে নানা কারণে এই রুটে দিনভর যানজট লেগেই থাকে। এতে বিড়ম্বনায় পড়েন এই সড়কে চলাচলকারী লোকজন। এমনকি বিমানবন্দর থেকে নেমে এই সড়ক ধরে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভোগান্তিতে পড়েন বিদেশিরাও।
সম্প্রতি এয়ারপোর্ট সড়কে যানজটে আটকা পড়েন কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির কোইকা) সভাপতি লি মাই কুয়াং। বাংলাদেশের উন্নয়ন হলেও ঢাকার যানজটকে ভয়াবহ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।
সওজ সূত্র জানায়, বর্তমানে মহাখালীতে যে ফ্লাইওভার আছে সেটা থাকবে। বিদ্যমান ফ্লাইওভারের পূর্বপাশ দিয়ে নতুন এ ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে।
ঢাকা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ইমপ্রুভমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে নকশা চূড়ান্ত ও মূল প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণের জন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় সম্ভাব্যতা যাচাই কাজও শুরু হয়ে গেছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ফিজিবিলিটি স্টাডির কাজ শেষ হবে। এতে মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এরপরই নেওয়া হবে মেগা প্রকল্প।
সওজ সূত্র বলছে, নতুন মহাখালী ফ্লাইওভার ছাড়াও এই রুটে সাতটি বিআরটি স্টেশন নির্মাণ করা হবে। বনানী সেতু ভবন থেকে মহাখালী বাস টার্মিনাল পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ সহজ হবে না; বিধায় নতুন ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। এই ফ্লাইওভারের ওপর দিয়েই নির্মিত হবে আর্টিকুলেটেড (দুই বগির জোড়া লাগানো) বাস লেন। মূলত এয়ারপোর্ট রুটকে যানজটমুক্ত করতেই এই বড় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
নতুন এই প্রকল্পটির পরিচালক সানাউল হক বলেন, মহাখালী ফ্লাইওভারকে কোনো ডিস্টার্ব না করেই নতুন ফ্লাইওভার নির্মাণ করবো। নতুন ফ্লাইওভার বনানী সেতু ভবন থেকে শুরু হয়ে নামবে মহাখালী বাস টার্মিনালে। মূলত আর্টিকুলেটেড বাস চলাচলের লেনের জন্যই এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, মানুষের হাতে টাকা পয়সা হচ্ছে অন্যদিকে উড়োজাহাজের যাত্রী সংখ্যাও বাড়ছে। বর্তমানে ঘণ্টায় ১০ হাজার যাত্রী বিমানবন্দর ব্যবহার করছেন, সামনে আরো বাড়বে। এসব যাত্রী যাবে কোথায়?
প্রকল্প পরিচালক বলেন, নানা কারণেই এয়ারপোর্ট থেকে মহাখালী পর্যন্ত বিআরটি রুট করা হবে। পৃথট রুটে আধুনিক আর্টিকুলেটেড বাস চলবে। এই রুট স্মুথ করতেই নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় সড়কের উভয়পাশে দুইলেনের ডেডিকেটেড বিআরটি লেন নির্মাণ করা হবে। এই লেন দিয়ে শুধু আর্টিকুলেটেড বাস চলবে। দুটি কোচ জোড়া দিয়ে বানানো এ বাসের দৈর্ঘ্য হবে ১৮ মিটার; তবে সাধারণ বাসের থেকে যাত্রীধারণ ক্ষমতা দ্বিগুণ। প্রায় দেড়শ’ জন যাত্রী একটি বাসে ভ্রমণ করতে পারবেন। বিশ্বের নানা দেশে বেন্ডি বাস, ট্যান্ডেম বাস, ব্যানান বাস, ক্যাটারপিলার বাস বা অ্যাকর্ডিয়ন বাস নামে পরিচিত আর্টিকুলেটেড বাস।
সংশ্লিষ্টরা জানান, স্মার্টকার্ড ও ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভাড়া নিয়ন্ত্রণ করা হবে এ বাসে। ডেডিকেটেড রুটজুড়ে থাকবে ৭টি স্টপেজ। বাসগুলো কয়েকটি নির্দিষ্ট কোম্পানির মাধ্যমে চালানো হবে। এই রুটে তিন মিনিট পরপর বাস পাওয়া যাবে। থাকবে ইলেকট্রনিক ভাড়া নিয়ন্ত্রণব্যবস্থাও।



 

Show all comments
  • মোঃ আতিকুল ইসলাম ১০ নভেম্বর, ২০২১, ১১:৪৫ এএম says : 0
    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর যানজট নিরসনে ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছেন, একজন নাগরিক হিসেবে মাননীয় সরকারের কাছে আমাদের কিছু দাবি জানাচ্ছি যে বৃহত্তর ঢাকার মধ্যে সকল রেললাইনের উপর ওভারপাস নির্মাণ ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ইন্টারসেকশন বা ফ্লাইওভার নির্মাণ করা জরুরি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফ্লাইওভার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ