বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাবনার কোমরপুর চর এলাকার মানুষ এখন কুমিরের সাথে বসবাস করছে। আতংকগ্রস্ত মানুষজন নদী পাড়ে নামে না, মৎস্যজীবীরা মাছ ধারা ছেড়ে দিয়েছেন। নদীর খালের পাড়ে বসে বর্শি টপে মাছ ধরায় বন্ধ। গত বর্ষায় বিরল প্রজাতির একটি কুমির ভেসে এসে আশ্রয় নেয় পাবনা সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নের পদ্মা নদীর একটি খালে। লুকিয়ে থাকা কুমিরটি জেলে নৌকায় আক্রমণ করলে বিষয়টি জানা জানি হয়। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে পাবনা জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন ও পাবনা বন বিভাগ অবহিত করেন। রাজশাহী থেকে একটি টিম আসেন। তাঁরা কুমিরটিকে এখানেই রাখতে বলেন,‘ তাদের মতে বিরল প্রজাতির এই কুমিরটি সম্ভবত: ভারত থেকে ভেসে এসেছে, এখন যেখানে আছে সে জায়গাটি এই কুমিরের জন্য উপযোগি এবং এখানে অনেক মাছ আছে।’ এলাকার মানুষ বাদসাধেন , তারা বলেন, ডাঙ্গায় বাঘ আর জলে কুমির নিয়ে কি বসবাস করা যায়? এই খবর দৈনিক ইনকিলাব-এর অন লাইনসহ দেশের জাতীয় অন্যান্য জাতীয় পত্রিকা,
টিভি মিডিয়া এবং বিবিসি বাংলার বাংলা নিউজে প্রচারিত হলে প্রায় ৩ সপ্তাহ পর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তারা জানান এই প্রজাতির কুমির বাংলাদশের নদ-নদী থেকে প্রায় ৬০ বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। । রাজশাহী বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ রাজশাহী বিভাগীয় কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান, পাবনার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাহবুর রহমান, বন্যপ্রাণী দপ্তরের ঢাকার সিনিয়র কর্মকর্তা সরোয়ার আলমের নেতৃত্বে কুমির ধরতে পাবনায় চর কোমরপুর পদ্মা নদীতে অভিযান চালান গত ডিসেম্বর মাসে। পাবনা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন তাদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন। বিগত ২৮ ডিসেম্বর থেকে টানা দুই দিন অভিযান চালিয়ে কুমিরের দেখা না পেয়ে তারা ফিরে যান। ধারণা করা হয় কুমিরটি আত্মগোপন করে আছে অথবা স্থান পরিবর্তন করেছে। অভিযান শেষ হওয়ার কিছু দিন পর আবার এলাকাবাসী কুমিরটি দেখেতে পান। নির্বাচনের সময় (জাপা ) প্রার্থী আব্দুল কদর খানও কুমিরটি দেখেতে পেয়েছেন বলে জানান। আবার অভিযান শুরু হবে বলে জানা গেলেও এখনও কুমির ধরার অভিযান শুরু হয়নি। আতংক বিরাজ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।