Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

নবীগঞ্জে ফাঁদে মেছোবাঘ পদ্মায় জালে কুমির ছানা

প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে খামারীর হাঁস খেতে গিয়ে ফাঁদে ধরা পড়েছে মেছোবাঘ। পরে সেটি বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপরদিকে ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পদ্মায় বেড়াজালে আটকা পড়েছে এক কুমিরছানা। সেটিকে জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের বনকাদিপুর গ্রামে একটি মেছো বাঘ আটক করা হয়েছে। গত শুক্রবার গভীর রাতে ওই গ্রামের আলাউদ্দিনের বাড়ি থেকে বাঘটি আটক করা হয়। এই চাঞ্চল্যকর খবর এলাকায় জানাজানি হলে শত শত উৎসুক জনতা বাঘটিকে এক নজর দেখার জন্য ওই বাড়িতে ভিড় জমান। বাঘ আটকের বিষয়টি বন্য ও প্রাণী মন্ত্রণালয়ের মৌলভীবাজার শাখাকে অবহিত করা হলে শনিবার দুপুরে তারা মেছো বাঘটি উদ্ধার করে নিয়ে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বনকাদিপুর গ্রামের আলাউদ্দিনের বাড়িতে একটি হাঁসের ফার্ম রয়েছে। উক্ত ফার্মটি দেখাশোনা করেন তার ছেলে মাহমদ আলী। তিনি প্রতিদিন সকালে ফার্মে গিয়ে দেখেন হাঁসের সংখ্যা কম। বুঝতে পারেন রাতের বেলা হয়তো কোনো কিছু এসে হাঁস খেয়ে ফেলে, নতুবা কেউ চুরি করে নিয়ে যায়। কিন্তু ওই ফার্মে যে বাঘ আসতে পারে তা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি। এক পর্যায়ে তারা বুঝতে পারেন যে লোভী একটি বাঘ তাদের হাঁস খেয়ে ফেলে। শেষে গত শুক্রবার রাতে একটি লোহার খাঁচা এনে ফাঁদ পেতে খাঁচার ভিতরে একটি হাঁস ভরে উক্ত ফার্মের পাশে রাখেন। ওই দিনই রাত ২টার দিকে লোভী বাঘটি ওই খাঁচার ভিতরে প্রবেশ করা মাত্র বন্দি হয়ে পড়ে। বাঘ আটকের খবরটি জানাজানি হলে এলাকার শত শত উৎসুক জনতা সেটিকে এক নজর দেখার জন্য ঐ বাড়িতে ভিড় জমান।
পরে শনিবার দুপুরে বন্য ও প্রাণী মন্ত্রণালয়ের মৌলভীবাজার জেলার বিট অফিসার মোনাইম হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকজন কর্মকর্তা ওই বাড়িতে আসলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবু সাঈদ এওলা মিয়া বাঘটি তাদের নিকট হস্তান্তর করেন।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বেও উপজেলার উক্ত দীঘলবাক ইউনিয়নের বনকাদিপুর গ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামে একাধিক বার বাঘ আটক করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
পদ্মায় আটকা পড়েছে কুমিরছানা
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চরহরিরামপুর ইউনিয়নে পদ্মা নদীর হাজার বিঘা চরের খাড়ি এলাকার জলমহালে শনিবার ভোররাতে বেড়জালে আটক পড়েছে একটি বাচ্চা কুমির। কুমির ছানার ওজন সাড়ে ১৩ কেজি। আটককৃত কুমির জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার চরহরিরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আমির খান জানান, ইউনিয়নের পদ্মা পাড়ে আঃ হাই খানের ডাঙ্গী গ্রামের মোতালেব ফকিরের ছেলে জাহাঙ্গীর ফকির (৩৭) শনিবার শেষরাতে সঙ্গীদের নিয়ে পদ্মা নদীতে বেড়জাল দিয়ে মাছ শিকারে যায়। পদ্মা নদীর হাজার বিঘা চরের খাড়ি অংশের জলমহাল জুড়ে বেড়জালটি ফেলে জেলেরা। পরে দুই দিক থেকে জালটি ট্রেনে উঠানোর সময় পানির মধ্যে থেকে উঠে আসে একটি বাচ্চা কুমির। এতে জেলেরা আঁতকে উঠলেও পরক্ষণে তারা সুকৌশলে বন্দি করে ফেলে কুমিরটি।
এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে হাজার বিঘা চরের এক ধর্ণাঢ্য বসতি ও সরকারি ইয়াছিন কলেজের সাবেক ভিপি মো. মোশারফ হোসেন ওরফে ভিপি মোশা কুমিরটিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে হস্তান্তর করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নবীগঞ্জে ফাঁদে মেছোবাঘ পদ্মায় জালে কুমির ছানা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ