বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাবনায় আকস্মিকভাবে কুমির আতংক দেখা দিয়েছে। বিশাল পদ্মা ও যমুনা নদী জুড়ে পানি থাকার সময় তেমন একটা কুমিরের দেখা পাওয়া যায়নি বহুদিন যাবৎ। হঠাৎ করে
পাবনার একটি গ্রামের মানুষের মধ্যে কুমির আতংক সুষ্টি হয়েছে। শহর থেকে প্রায় ৬ কিলো কিলোমিটার দূরে দোগাছি ইউনিয়নের গ চরকোমরপুর গ্রামে পদ্মা কোলে কুমিরের দেখা পেয়ে মানুষের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে। প্রায় ৬ফুট দৈর্ঘ্যরে কুমিরটি খাদ্য সংকটে হিংস্্র হয়ে ওঠায় বিপাকে পড়েছেন গ্রামের কৃষি ও মৎসজীবীরা। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদী শুকিয়ে ছোট খালে পরিণত হওয়া নদীর অল্প পানিতে প্রায় ১৫ দিন ধরে ভেসে বেড়াচ্ছে একটি কুমির। কুমিরটি ইতোমধ্যে কয়েকটি মাছ ধরা নৌকায় হামলা করলে আতংক ছড়িয়ে পড়ে গ্রামবাসীর মধ্যে। ভয়ে নদীতে কেউ আর মাছ ধরতে এবং গোসল করতে এবং বাসন-পত্র মাজা-খসা করতে যাচ্ছেন না। নদী পাড়ের চরে গরু ছাগল চড়ানো এবং চরের জমিতে আবাদ করাও বন্ধ হয়ে গেছে। বনবিভাগের মাধ্যমে কুমিরটি দ্রুত উদ্ধার না করলে গ্রামের লোকজন কুমিরটিকে পিটিয়ে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে চরকোমরপুর গ্রামে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। চরকোমরপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ জামাল হোসেন জানান, কয়েকদিন আগে পদ্মা নদীর চরের ছোট খালে বরশি নিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে হঠাৎ কুমিরটিকে মাথা তুলতে দেখেন। ভয়ে তিনি বরশি ফেলে দৌঁড়ে এসে সবাইকে খবর দেন। এরপর অনেকেই কুমিরটিকে দেখেছে। শুকিয়ে খালে পরিণত হওয়া পদ্মার নদীর পানিতে প্রায় ছয় ফুট লম্বা কুমিরটি ঘুরে বেড়াচ্ছে। মাঝে মাঝে ডুব দিয়ে হারিয়ে যাচ্ছে ,আবার ভেসে উঠছে। তিনি আরও জানান,
নদী পাড়ে বিশ্রামও নিতে ওঠে কুমিরটি। ফলে কুমিরের ভয়ে নদীতীরে কৃষিকাজ বন্ধ করে দিয়েছেন গ্রামবাসী। গবাদি পশু ও শিশুদের নিয়ে চরম আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের। একাধিকবার অতি উৎসাহী যুবকরা কুমিরটিকে হত্যার উদ্যোগ নিয়েছেন। কুমির আতঙ্কে স্থানীয় মৎসজীবীদের জীবিকা বন্ধের উপক্রম হয়েছে। গেল সপ্তাহে নৌকা নিয়ে আবু তালেব নামের একজন জেলে মাছ ধরতে গেলে কুমিরের হামলার শিকার হন। হাতের বৈঠা দিয়ে কুমিরটিকে সরিয়ে কোনমতে প্রাণ নিয়ে ফেরেন তিনি।
পাবনার বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ আন্দোলনের আহবায়ক এহসান বিশ^াস লিঠু বলেন, বন্যার ¯্রােতে দলছুট হয়ে এই স্থানে চলে এসেছে। এ সময় তাকে উত্যক্ত না করে নিজের মত থাকতে দিতে হবে। দ্রুততম সময়ে কুমিরটি উদ্ধার করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সংরক্ষণের দাবী জানান তিনি।
এলাকার প্রবীন ব্যক্তি ইদ্রিস আলী জানান, দীর্ঘ বছর এই পদ্মা কোলে তিনি কোন কুমিরের দেখা পাননি। হঠাৎ কুমির আসায় সবাই ভয়ের মধ্যে রয়েছেন। পাবনার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। রাজশাহী বিভাগীয় বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কুমিরটিকে নজরদারীতে রাখতে গ্রামবাসী ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে । আশা করা হচ্ছে, দু.একদিনের মধ্যে রাজশাহী থেকে বনবিভাগের অভিজ্ঞ টিম এসে কুমির টিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।