নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অনেক দিন হলো বড় কোন দলের বিপক্ষে টেস্টে এমন আধিপত্য বিস্তার করে জিততে দেখা যায়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ক্যারিবীয় সফরে পরিষ্কারভাবেই ইংল্যান্ড ছিল ফেভারিট। শেষ ১২ সিরিজে তারা হেরেছে মাত্র তিনটিতে। সেই ইংলিশদের ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে ৩৮১ রানে হারিয়েছে উইন্ডিজ। সেটাও মাত্র চার দিনে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যা তাদের রানের ব্যবধানে দ্বিতীয় বড় জয়।
বারবাডোজে সকল বিভাগেই স্বাগতিকরা ছিল এগিয়ে। আগুনঝরা পেস বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৭৭ রানে অল আউট করে উইন্ডিজ। কোমার রোচ মাত্র ১৮ রানে নেন ৫ উইকেট। ব্যাট হাতে অপরাজিত দ্বিশতক ইনিংস খেলেন অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। সঙ্গে আরেক অপরাজিত সেঞ্চুরিয়ান রস্টর চেজকে নিয়ে গড়েন সপ্তম উইকেটে নিজেদের রেকর্ড অবিচ্ছিন্ন ২৯৫ রানের জুটি। ইংল্যান্ডের সামনে ছুড়ে দেওয়া হয় অনতিক্রম্য ৬২৮ রানের লক্ষ্য। যে লক্ষ্যে তারা মুখ থুবড়ে পড়ে ২৪৬ রানে।
অবাক করা বিষয় হলো, ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে যিনি বলই করেননি সেই চেজের হাতেই দ্বিতীয় ইনিংসে ধরাশায়ী হয়েছে ইংল্যান্ড। ডানহাতি অফ স্পিনে একাই ৮ উইকেট নেন চেজ। এটি তার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং তো বটেই ক্যারিবীয়দের মধ্যেও ষষ্ঠ সেরা বোলিং ফিগার। আর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেরা। এই ব্রিজটাউনেই ১৯৯০ সালে ৪৫ রানে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন কার্টলি অ্যামব্রোস, চেজ ৮ উইকেট নিয়েছেন ২১.৪ ওভারে ৬০ রানের খরচায়। টেস্টে ৮ উইকেট ও সেঞ্চুরি গড়ার একমাত্র কীর্তিও চেজের। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হতে করেন ফিফটি। রেকর্ডের খেলা ক্রিকেটে ২৬ বছর বয়সী অলরাউন্ডার গড়েছেন আরো এক কীর্তি- টেস্টে প্রথম ইনিংসে বল না করে দ্বিতীয় ইনিংসে সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ডটি এখন তার। আগের রেকর্ডটি একশ বছরেরও বেশি পুরোনো। ১৯০৪ সালে মেলবোর্নে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অফ স্পিনার হিউ ট্রেম্বল।
এতকিছুর পরেও ম্যাচসেরা কিন্তু হতে পারেননি চেজ। সেই খেতাব গেছে দলপতি হোল্ডারের দখলে। হোল্ডারের ২২৯ বলে অপরাজিত ২০২ রানের ইনিংসই তো জয়ের ভীত পেয়ে যায় উইন্ডিজ। সেই দ্বিশতকও কত রঙে রঙ্গিন। ক্যারিবীয়দের হয়ে এটিই আটে নেমে প্রথম দ্বিশতক একই সঙ্গে তা দেশটির হয়ে দ্রæততম দুইশ’ রানের রেকর্ডও। ইতিহাসে মাত্র তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে আটে নেমে সেঞ্চুরি করেন হোল্ডার। আগের দুটি করেছিলেন পাকিস্তানের ইমতিয়াজ আহমেদ ও ওয়াসিম আকরাম।
হোল্ডারের কল্যাণেই ১২০ রানে ৬ উইকেট হারানো উইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা দেয় ৬ উইকেটে ৪১৫ রান তুলে। প্রথম ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ছিল ২৮৯। ব্যাটিং-বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়ে অবিশ্বাস্য সব ক্যাচ নেন হেটমেয়ার-ক্যাম্পবেলরা-ব্রাফেটরা। শেষ দুই দিনে ম্যাচ বাঁচাতে ৫৭২ রান করতে হত ইংল্যান্ডকে।
ইংলিশদের এখন বিশ্লেষণের বিষয়, এমন অসহায় আত্মসমর্পণের কারণটা কী, কিভাবে অ্যান্টিগুয়ায় দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানো যায়।
উইন্ডিজ : ১০১.৩ ওভারে ২৮৯ (হোপ ৫৭, চেজ ৫৪, হেটমেয়ার ৮১; অ্যান্ডারসন ৫/৪৬, স্টোকস ৪/৫৯) ও ১০৩.১ ওভারে ৪১৫/৬ (চেজ ১১৬*, হোল্ডার ২০২*; মঈন ৩/৭৮, স্টোকস ২/৮১)। ইংল্যান্ড : ৩০.২ ওভারে ৭৭ (জেনিংস ১৭; রোচ ৫/১৭, হোল্ডার ২/১৫) ও ৮০.৪ ওভারে ২৪৬ (বার্নস ৮৪, স্টোকস ৩৪; চেজ ৮/৬০)। ফল : উইন্ডিজ ৩৮১ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা : জেসন হোল্ডার। সিরিজ : ৩ ম্যাচ সিরিজে উইন্ডিজ ১-০তে এগিয়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।