Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পুলিশ চাইলে কী না পারে অপহরণের ৩ ঘণ্টার মধ্যে স্কুলছাত্র উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৫ এএম


স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে অপহরণ করে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির তিন ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার হলো ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সাইদুল ইসলাম শামীম (১১)। তবে অপহরণকারী চক্রের কোন সদস্যকে রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গ্রেফতার করা যায়নি। পুলিশ বলছে, তাদের ধরতে অভিযান চলছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে নগরীর ঘাটফরহাদবেগ এলাকা থেকে শামীমকে উদ্ধার করা হয়। শামীম মুসলিম হাই স্কুলের ছাত্র। তাদের বাসা নগরীর নন্দনকানন এলাকায়। তার বাবা শামসুল ইসলাম রেয়াজুদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী।
পুলিশ জানায়, স্কুল ছুটির পর মুসলিম হাই স্কুলের গেট থেকে তাকে তুলে নেয়া হয়। তাকে বলা হয় তোমার বাবা তোমাকে নিতে গাড়ি পাঠিয়েছে। গাড়িতে ওঠামাত্রই অপহরণকারীরা তাকে বাসায় না নিয়ে উল্টোপথে নিয়ে যেতে থাকে। এ সময় সে চিৎকার শুরু করলে তার গলায় ছুরি ধরে দুর্বৃত্তরা। মাইক্রোবাসে থাকা অবস্থায় শামীমের বাবার কাছে ফোন করে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে শামীমকে হত্যার হুমকি দেয় অপহরণকারীরা। কোতোয়ালী থানার ওসি জানান, অপহরণকারীদের ফোন পেয়ে তাৎক্ষণিক বিষয়টি পুলিশকে জানান শামীমের পিতা। এরপর পুলিশ দ্রæত অভিযানে নামে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি শুরু হয়। একপর্যায়ে অপহরণকারীরা তাকে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে দেয়। সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে শামীমকে উদ্ধারের বিষয়টি জানান নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, পুলিশের তৎপরতায় অপহরণের মাত্র তিন ঘণ্টার মাথায় শিশু শামীমকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
অপহরণের শিকার শামীমের বাবা শামসুল ইসলাম বলেন, বেলা সাড়ে ১১টায় মুসলিম হাই স্কুলের সামনে থেকে শামীমকে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পরে আমাকে ফোন দিয়ে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। সাইদুল ইসলাম শামীম জানায়, স্কুল ছুটি হওয়ার পর দুইজন লোক এসে আমাকে বলে বাবা তাদেরকে পাঠিয়েছে আমাকে নেওয়ার জন্য। তখন আমি গাড়িতে উঠি। রাস্তায় জ্যাম আছে বলে তারা আামাকে নন্দনকানন বাসার দিকে না নিয়ে আন্দরকিল্লার দিকে নিয়ে গেলে আমি চিৎকার করি। তখন তারা আমার গলায় ছুরি ধরে এবং মুখ বেঁধে ফেলে। পরে আর কিছু দেখিনি।
শামীম আরও জানায়, অনেকক্ষণ গাড়িতে থাকার পর তারা আমার বাবার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে। গাড়িতে আমাকে নিয়ে অনেকক্ষণ ঘুরে তারা। তাদের মোবাইলে অনেকগুলো কল আসে। পরে আমাকে গাড়ি থেকে কোথায় জানি তারা নামিয়ে দেয়। সংবাদ সম্মেলনে নগর পুলিশের এডিসি শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফ, সিনিয়র সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমা, কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীনসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পুলিশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ