Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাখাইনে অর্থনৈতিক অঞ্চলের কার্যক্রম শুরু হবে : উ কিয়াউ

জাতিসঙ্ঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিনার রাখাইনের উত্তরাঞ্চল পরিদর্শন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

মিয়ানমারের রাখাইনে অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ অব্যাহত রেখেছে সেখানকার রাজ্য সরকার। এ পরিকল্পনার আওতায় কানিয়ন চং অর্থনৈতিক অঞ্চল, পোনে নার কিউন শিল্পাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইনে লাইভস্টক এবং কৃষি অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে। রাখাইনের অর্থ, রাজস্ব ও পরিকল্পনাবিষয়ক মন্ত্রী উ কিয়াউ আয়ে থেইন জানিয়েছেন, মার্চ নাগাদ কানিয়ন চং অর্থনৈতিক অঞ্চলের কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা করছে রাজ্য সরকার। কানিয়ন চং-এর অবস্থান মংদু এলাকার কাছে। বাংলাদেশ ও ভারতের নিকটবর্তী এ এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে সমুদ্রপথে দেশটির বাণিজ্য বাড়বে। ২০১৫ সালে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলটি গড়ে তুলতে ১৬০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার। সরকারি-বেসরকারি দুই খাতের অর্থায়নে এ কাজ চলছে। রাখাইনের মুখ্যমন্ত্রী উ নি পু বলেন, ‘কানিয়ন চং অর্থনৈতিক অঞ্চলটি সমুদ্র-বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক দৃঢ় হওয়ার আশা করা হচ্ছে।’ কানিয়ন চং-এর পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইনের পোনে নার কিউন এলাকার পোনে নার কিউন শিল্প অঞ্চলেও অর্থনেতিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পূর্ববর্তী সরকার সেখানে শিল্পাঞ্চল নির্মাণের কাজ শুরু করলেও পরে তা বিলম্বিত করা হয়েছিল। এখন নতুন করে সেখানে কাজ শুরু হবে। উ কিয়াউ আয়ে থেইন বলেন, ‘মিয়ানমারের ন্যাশনাল প্রজেক্ট ব্যাংক অব দ্য মিয়ানমার সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট প্ল্যানের আওতায় আমরা পোনে নার কিউন শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলব। অংশগ্রহণের জন্য বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ জানাব আমরা।’ এ ছাড়া কাসাপানাদি নদীর কাছে কিয়াউকেতো এলাকায় কৃষি ও লাইভস্টক অঞ্চল গড়ে তোলারও পরিকল্পনা চলছে। এ দিকে মিয়ানমারবিষয়ক জাতিসঙ্ঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন বার্গেনার রাখাইনের উত্তরাঞ্চল পরিদর্শন করছেন। সহিংসতাকবলিত রাখাইনে জাতিসঙ্ঘের সহযোগিতার উপায় খোঁজার জন্য গতকাল মঙ্গলবার থেকে তিনি এই সফর করছেন। আইনসভার সিনিয়র এক সদস্য জানিয়েছেন, জাতিসঙ্ঘের বিশেষ দূত সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকের পর রাখাইনের পার্লামেন্টের সদস্যদের সাথে বৈঠক করার অনুরোধ জানিয়েছেন। সোমবার রাখাইনের পার্লামেন্টের স্পিকার ইউ মিয়া থান বলেন, আলোচনার নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু সম্পর্কে আমরা জানি না; কিন্তু বৈঠকের সূচি নির্ধারিত করা হয়েছে। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রোববার রাজধানী নেপিডোতে পৌঁছেন ক্রিস্টিন। তিনি সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টার কার্যালয়ের সাথে বৈঠক করবেন। তবে তিনি রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা ও শীর্ষ সামরিক নেতাদের সাথে বৈঠক করবেন কি না তা নিশ্চিত নয়। ওই কর্মকর্তা আরো জানান, ক্রিস্টিন মিয়ানমার পৌঁছেছেন শনিবার এবং এক সপ্তাহ অবস্থান করবেন। ২০১৮ সালের অক্টোবরে ক্রিস্টিন রাখাইনের কয়েকটি আশ্রয়শিবির পরিদর্শন করেন। তিনি কিয়াকতাউ, বুথিডং, মংডু ও সিত্তইয়ের পুনঃস্থানান্তর কেন্দ্রগুলোও ঘুরে দেখেন। এ সময় তিনি স্থানীয় বেসামরিক বাসিন্দা ও সামরিক কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করেছিলেন। মিয়ানমার টাইমস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ