মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চমক না মাস্টারস্ট্রোক? ভারতের জাতীয় রাজনীতি এখন এই প্রশ্নের উত্তরে তোলপাড়। কারণ এই প্রথম সরাসরি সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করলেন কংগ্রেস সভাপতির বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভডরা। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এই সিদ্ধান্ত আস্তিনের বড় তাস বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। পূর্ব উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদকের পদে বুধবার তার নাম ঘোষণা করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
সোনিয়া গান্ধীর মেয়ে প্রিয়াঙ্কাকে সক্রিয় রাজনীতিতে দেখতে চাওয়ার দাবি বহুদিন ধরেই ছিল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। লোকসভা ভোটের আগে সেই দাবি পূরণ করে মাস্টারস্ট্রোক দিল কংগ্রেস। উত্তরপ্রদেশকে দু-ভাগে ভাগ করে তার একটা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রিয়াঙ্কার কাঁধে। এই মাস্টারস্ট্রোকের পাশাপাশি কংগ্রেস আরও চমকে দিল উত্তরপ্রদেশ পশ্চিমে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে। একইসঙ্গে কেসি বেনুগোপালকে সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) করে দেওয়া হল। ৪৭ বছরের প্রিয়াঙ্কা বরাবরই আমেঠি এবং রায়বরেলি কেন্দ্রে বড় ভাই রাহুল ও মা সোনিয়ার হয়ে প্রচারে এসেছেন। এবার এলেন সক্রিয় রাজনীতিতে অন্য মেজাজে। যা বিজেপিকেও চাপে ফেলে দিল বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, কংগ্রেসকে দুটি আসন ছেড়ে নিজেদের মধ্যে জোট করেছে অখিলেশ–মায়াবতীর দল। সেখানে সব আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে আগেই ঘোষণা করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু কিসের ভিত্তিতে রাহুল গান্ধী এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সেই বিশেষজ্ঞদের কার্যত জবাব দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হল, খেলা এখনও শেষ হয়নি। ফলে সমাজবাদী পার্টি–বহুজন সমাজবাদী পার্টিকে এখন ভাবতে হবে উত্তরপ্রদেশে নয়া সমীকরণ।
দলীয় সূত্রে খবর, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে দায়িত্ব নেবেন প্রিয়াঙ্কা। সূত্রের খবর, এবার রায়বরেলি লোকসভা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। আর সরে যাবেন কংগ্রেস হাইকমান্ড সোনিয়া গান্ধী। ছেলেকে দলের সর্বোচ্চ পদ ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। এবার মেয়েকে ছেড়ে দেবেন তার দীর্ঘদিনের লোকসভা আসন। এমনটাই গুঞ্জন। এই বিষয়ে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা মোতিলাল ভোরা বলেন, ‘প্রিয়াঙ্কাজিকে দায়িত্ব দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এর ফলে শুধু উত্তরপ্রদেশ পূর্বেই প্রভাব পড়বে না, প্রভাব পড়বে গোটা উত্তরপ্রদেশে।’
লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেস নেতৃত্ব বুঝেছে যে উত্তরপ্রদেশের মতো ৮০টি আসনের রাজ্যের দায়িত্ব একজনের কাঁধে দেওয়া সমীচিন হবে না। তাই প্রিয়াঙ্কাকেও নিয়ে আসা হল সক্রিয় রাজনীতিতে। প্রিয়াঙ্কার রাজনীতিতে আসার ফলে উত্তরপ্রদেশে সপা-বসপা জোটের পরে কিছুটা ঝিমিয়ে থাকা কংগ্রেস কর্মীরা নতুন মনোবল পাবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।