Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাবণ ধ্বংস হয়েছিল, মমতা কোন ছার –অমিত শাহ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ জানুয়ারি, ২০১৯, ৬:২৭ পিএম

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেছেন, ‘রাবনের শাসন ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, আর এ তো মমতার শাসন। কোনভাবেই বিজেপিকে ঠেকানো যাবে না।’ আদালতের আপত্তিতে রথযাত্রা হয়নি। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মীয়দের চাঙ্গা করতে মঙ্গলবার বাংলায় পা রাখেন বিজেপির অমিত। এদিন মালদহে আযোজিত বিজেপির সভায় দেয়া বক্তৃতায় মমতার নেতৃত্বে গড়া জোটের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।।
এদিনের সভায় দলকে লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২৩টি আসন জেতার লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালের ভোট বাংলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচন ঠিক করবে খুনি তৃণমূল থাকবে কিনা। বিজেপিকে রাজনীতি করতে না দেওয়া সরকার থাকবে কিনা। দুর্গাপুজো সরস্বতী পুজো করতে না দেওয়া সরকার থাকবে কিনা। এই নির্বাচন তৃণমূল সন্ত্রাস মুক্ত করার ভোট।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইউপিএ-র থেকে এনডিএ রাজ্যের উন্নয়নের জন্য বেশি টাকা বরাদ্দ করেছে। শেষ পাঁচ বছরে ইউপিএ সরকার ১ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে, আর মোদী সরকার তার চেয়ে আড়াই গুণ বেশি টাকা দিয়েছে। কিন্তু উন্নয়ন হয়নি কেন? অর্ধেক টাকা মমতার লোক খেয়ে নেয় আর বাকিটা খেয়ে নেয় অনুপ্রবেশকারীরা।’
রথযাত্রা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘মমতাদি রথযাত্রাকে ভাবলেন সরকারের অন্তিম যাত্রা। তাই অনুমতি দিলেন না। কোনও ব্যাপার নয় বেশি পরিশ্রম করবো। যাত্রা বন্ধ করে বিজেপিকে থামানো যাবে না।’
এরপর নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন বিজেপি সভাপতি। তিনি বলেন, ‘ভোট ব্যাঙ্কের জন্য মুখ্যমন্ত্রী নাগরিকত্ব আইন পাস করাতে দিচ্ছে না। কিন্তু আমি বলে যাচ্ছি দেশের স্বার্থে আমরা নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এগিয়ে যাব।’
মালদহের পরে বুধবার ঝাড়গ্রাম ও সিউড়ি-তে সভা করবেন অমিত শাহ। কৃষ্ণনগর ও জয়নগরের সভা করার কথা থাকলেও, শেষমেষ বাদ দেয় হয়েছে ওই দুই সভা। সূত্র: এনডিটিভি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ