Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নতুন কর্মসংস্থান কমেছে ভারতে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ৭:৩৪ পিএম

গত বছরের ডিসেম্বর নাগাদ ভারতে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৪০ শতাংশ, যা কিনা ১৫ মাসে সর্বোচ্চ। ভারতে বেকারত্বের হার নিয়ে দেশটির গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির (সিএমআইই) তাদের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। চলতি বছরের মে মাসে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। কর্মসংস্থানের ধীর প্রবৃদ্ধি ভোটে প্রভাব রাখবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

সিএমআইই প্রকাশিত সর্বশেষ উপাত্ত অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ভারতে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ তাদের চাকরি হারিয়েছে। ডিসেম্বরে প্রকাশিত উপাত্ত অনুযায়ী, ভারতে কর্মসংস্থান আগের বছরের চেয়ে ১ কোটি ৯ লাখ কমে ৩৯ কোটি ৭০ লাখে দাঁড়িয়েছে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে দেশটিতে নিযুক্ত কর্মীর সংখ্যা ছিল ৪০ কোটি ৭৯ লাখ।

সাবেক কেন্দ্রীয় আর্থিক উপদেষ্টা কৌশিক বসু এজন্য নোট বাতিল ও জিএসটি দায়ী জানিয়ে বলেন, যুক্তি দেওয়া হয়েছিল জাল টাকা রুখতেই নোটবন্দি। কালো টাকা নয়। তার কথায়, ‘আইন ভালো হলে মানুষ তার সঙ্গে মানিয়ে নেয়। কিন্তু কালো টাকা রুখতে নোট বাতিলের কথা কেউ বিশ্বাস করেননি। অথচ তার ধাক্কা লাগল কৃষিতে। চাষিরা আরো ঋণে জড়ালেন। এখনো সমস্যা মেটেনি।’ তার দাবি, এখনো জোড়া ধাক্কা সামলাতে হচ্ছে কৃষি ও ছোট ব্যবসাকে। তিনি দেউলিয়া আইনের প্রশংসা করলেও মনে করান বৃদ্ধি কমে যাওয়ার কথা। সেই বৃদ্ধির অনুপাতে কর্মসংস্থান না হওয়ার কথাও। এমনিতে কৃষিঋণ মওকুফের বিরোধী কৌশিক। কিন্তু ধাক্কা খাওয়া কৃষিকে চাঙ্গার প্রয়োজনীয়তাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না আপাতত। তার সতর্ক বার্তা, আগে জিডিপির ৩৮ শতাংশ লগ্নি হলেও এখন তা নেমেছে ৩০ শতাংশের নিচে। লগ্নি বাড়াতে প্রয়োজনে সুদ বৃদ্ধির পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।

এদিকে, সিএমআইইর উপাত্তের বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল জানান, যেসব উপাত্ত প্রকাশিত হয়েছে তার সঙ্গে বেকারত্বের প্রকৃত সংখ্যা এবং এমপ্লয়িজ ফান্ড অর্গানাইজেশনের উপাত্তের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের অনানুষ্ঠানিক খাতের উপাত্তকে বিবেচনায় নিতে হবে। তিনি বলেন, ২০১১-১২ সালে ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে অফিস (এনএসএসও) প্রকাশিত উপাত্তই ছিল সর্বশেষ নির্ভরযোগ্য উপাত্ত। শিগগিরই এনএসএসও থেকে নতুন উপাত্ত প্রকাশের কথা জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, নতুন নতুন শিল্পোদ্যোগের ফলে মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু কর্মসংস্থানের খাতায় এসব উদ্যোক্তার নাম উঠছে না। কারণ, আনুষ্ঠানিক বেতনভুক্তির উপাত্তে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এসব কর্মজীবীকে আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থান জালের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। একই সঙ্গে তাদের সামাজিক নিরাপত্তার পরিধিও বাড়াতে হবে। সূত্র: ইন্টারনেট।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ