নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এবারের অস্ট্রেলিয়া সফরটা কোনভাবেই ভুলবে না ভারত। প্রথমবারের মত অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতে এমনিতেই তারা ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। এবার একই ব্যবধানে (২-১) ওয়ানডে সিরিজও জিতে নিয়ে ইতিহাসের পাতাটা আরো রঙিন করল বিরাট কোহলির দল।
তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে গতকাল অজিদের ৭ উইকেটে হারায় ভারত। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাট করে ৮ বল বাকি থাকতে ২৩০ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে চার বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌছে যায় ভারত।
সিরিজটা নিজেদের পক্ষে নেয়ার যথেষ্ঠ সুযোগ ছিল অস্ট্রেলিয়ার সামনে। ক্যাচ মিসের সঙ্গে রান আউটের সুযোগ হাতছাড়া করার মহড়ায় তা হয়নি। দুইবার জীবণ পেয়ে অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংস খেলেন মাহেন্দ্র সিং ধোনি। প্রথমবার যখন জীবন পান তখন ধোনির নামের পাশে কোন রানই যোগ হয়নি। এসময় তার ক্যাচ বেরিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার সেরা ফিল্ডার গেøন ম্যাক্সওয়েলের হাত গলে। দুই ওপেনারকে হারিয়ে ভারতের স্কোর তখন ৫৯। ধোনিকে দ্বিতীয়বার তাকে জীবন দেন স্বয়ং অজি দলপতি অ্যারোন ফিঞ্চ, ক্যাচ ছেড়ে। ধোনির রান তখন ৭৪। এই ধোনিই চতুর্থ উইকেটে কেদার যাদবকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ১২১ রানের জুটিতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন। যে ধোনির পারফশ্যান্স নিয়ে ছিল তুমুল বিতর্ক, সেই ধোনি নিজেকে এখনো দলের অপরিহার্য খেলোয়াড় হিসেবে আবারো প্রমাণ করলেন। তিন ম্যাচেই তার ব্যাট থেকে এসেছে ফিফটি ইনিংস। শেষ দুটিতে ছিলেন সেই পরিচিত ফিনিশারের ভূমিকায়। এদিনও ৩০ ওভারে ১১৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া ভারকে তো উদ্ধার করলেন তিনিই। তার সঙ্গে অবদান রাখেন ৫৭ বলে অপরাজিত ৬১ রান করা কেদার যাদব।
তবে ভারতের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান যোগেন্দ্র চাহালের। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে যৌথ সেরা বোলিংয়ে তুলে নেন ৪২ রানে ৬ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ায় এটি তার প্রথম ম্যাচও। আগের সেরাও ছিল আরেক ভারতীয়, আজিত আগারকারের। কিন্তু ২০০৪ সালে এই মেলবোর্নেই সেদিন ভারত ম্যাচ হেরেছিল ১৮ রানে।
গতকাল ২৭ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে তুলে নেন ভুবনেশ্বর কুমার। বাকি কাজটা সারেন চাহাল। স্বাগতিকদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০০ পেরুনোর পর শুরু হয় চাহালের ঘুর্ণী তাÐব। তিন বলের ব্যবধানে তুলে নেন উসমান খাজা ও শন মার্শকে। এরপর সময়ের বিরতিতে একে একে তুলে নেন স্টয়নিস, রিচার্ডসন, পিটার হ্যান্ডসকম্ব ও জাম্পার উইকেটও। মাঝে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আভাস দেওয়া ম্যাক্সওয়েলকে থামান মোহাম্মাদ শামি। এটি ছিল চাহালের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংও।
অস্ট্রেলিয়া সফর শেষ হলেও এখনই দেশে ফিরছে না ভারত। ২৩ জানুয়ারি থেকে তারা নিউজিল্যান্ডে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে ও ৩ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলে তারপর দেশে ফিরবে। এসময় ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলবে অস্ট্রেলিয়া। ২৪ ফেব্রæয়ারি থেকে আবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটি টি-২০ ও পাঁচটি ওয়ানডে ম্যাচের সিরিজ খেলবে বিরাট কোহলির দল। এবার নিজেদের মাটিতে।
অস্ট্রেলিয়া : ৪৮.৪ ওভারে ২৩০ (খাজা ৩৪, মার্শ ৩৯, হ্যান্ডসকম্ব ৫৮, ম্যাক্সওয়েল ২৬; ভুবনেশ্বর ২/২৮, শামি ২/৪৭, চাহাল ৬/৪২)। ভারত : ৪৯.২ ওভারে ২৩৪/৩ (ধাওয়ান ২৩, কোহলি ৪৬, ধোনি ৮৭*, যাদব ৬১* রিচোর্ডসন ১/২৭, সিডল ১/৫৬, স্টয়নিস ১/৬০)। ফল : ভারত ৭ উইকেটে জয়ী। সিরিজ : ৩ ম্যাচ সিরিজে ভারত ২-১ ব্যবধানে জয়ী। ম্যাচসেরা : যোগেন্দ্র চাহাল। সিরিজ সেরা : মহেন্দ্র সিং ধোনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।