নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চেক প্রজাতন্ত্রের মারিয়ে বুজকোভার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথম সেট হারের পর কি খানিকটা দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন ওনস জাবির? সম্ভবত না, দুশ্চিন্তায় ডুবলে কি আর ঘুরে দাঁড়িয়ে ইতিহাস গড়তে পারতেন! ইতিহাস? হ্যাঁ, উইম্বলডনে গতপরশু অনন্য এক ইতিহাসই গড়েছেন তিউনিসিয়ার এই তৃতীয় বাছাই টেনিস তারকা। বুজকোভাকে ৩-৬, ৬-১, ৬-১ গেমে হারিয়ে উঠেছেন উইম্বলডনের সেমিফাইনালে। ছেলে ও মেয়ে মিলিয়ে ওপেন যুগে আরব দুনিয়া থেকে কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামের সেমিফাইনালে ওঠা প্রথম খেলোয়াড় ওনস জাবির। ১৯৯৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার কোয়েৎজারের পর আফ্রিকার প্রথম নারী হিসেবে কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামের সেমিফাইনালে ওঠার নজিরও গড়লেন জাবির।
মেয়েদের র্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় জাবির ফ্রেঞ্চ ওপেনে প্রথম রাউন্ডে হারের পর ঘাসের কোর্টে টানা ১০ ম্যাচ জিতে উইম্বলডনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন। সেমিফাইনালে তার প্রতিদ্বন্দ্বী জার্মানির তাতানা মারিয়া। র্যাঙ্কিংয়ে ১০৩তম এই খেলোয়াড় জাবিরের কাছের বন্ধুও। উইম্বলডনে দুজন একসঙ্গে সময় কাটানো ছাড়াও ফুরসত পেলে মারিয়ার দুই সন্তানের দেখাশোনাও করেন জাবির। তাতানার মুখোমুখি হওয়া প্রসঙ্গে জাবির বলেছেন, ‘আমি তাতানাকে খুব ভালোবাসি। তার পরিবারেকে ভালোবাসি। সে আমার বারবিকিউ বানানোর সঙ্গী। তাকে সেমিফাইনালে দেখে ভালো লাগছে। দুটি সন্তানের মা হয়েও সে সেমিফাইনালে উঠে এসেছে, দারুণ ব্যাপার!’ ২০২০ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা জাবির জানালেন, নিজ দেশের মেয়েদের টেনিসে উঠে আসার প্রেরণা জোগাতে চান তিনি, ‘আশা করি, আমার পারফরম্যান্স দেখে বাকিরাও উঠে আসার চেষ্টা করবে, আরও ভালো করবে।’
গতকাল আরেক কোয়ার্টার ফাইনালে আনাস্তাসিয়া আনিসিমোভাকে ৬-২, ৬-৪ সেটে সহজেই হারিয়ে শেষ চারের টিকিট কেটেছেন এই উইম্বডনসহ দুটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক ও সাবেক নম্বর ওয়ান সিমোনা হালেপ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।