যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
বিভিন্ন খাবার তৈরিতে আমরা নানা ধরনের মশলা ব্যবহার করি। ওজন কমাতে সহায়ক খাবারও আছে প্রচুর। কিন্তু আমাদের হয়তো অজানা যে, যুগ যুগ ধরে ব্যবহার করে আসা মশলাগুলোতে রয়েছে বিস্ময়কর কিছু ঔষধিগুণ। মশলা শুধু আমাদের খাবারের স্বাধ আর ঘ্রাণই বাড়ায় না, এদের আছে রোগ প্রতিরোদ ক্ষমতা। মেটাবলিজম বাড়ায় ফলে এগুলো ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।
তাহলে আসুন, জিনে নিন কোন কোন মশলা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে-
দারুচিনি ঃ ওজন কমাতে দারুচিনি বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। নিয়মিত দারুচিনি খেলে ক্ষুধা কমে যায়। শরীরে জমে থাকা মেদ গলাতে সাহায্য করে। এটি শরীরের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এছাড়াও পেটের রোগ, ইনফ্লুয়েঞ্জা, টাইফয়েড, টিবি ও ক্যানসার প্রতিরোধে দারুচিনি অনন্য ভূমিকা রাখে।
এলাচ ঃ এলাচে রয়েছে নানা রকম রাসায়নিক উপাদান। যেমন-টার্পিন, টিপিনিনোল, সিনিওল, অ্যাসিটেট, টপিনিল ইত্যাদি। এসব শরীরের ফ্যাট বার্ন করার ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে শরীরে চর্বি জমে না।
আদা ঃ আদা শুধু সর্দি-কাশিতেই উপকারী না, এর রয়েছে অনেক গুণ। পেট পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে আদা রাখতে পারে বিশেষ ভূমিকা। আদা শরীরে ফ্যাট জমতে দেয় না। আর ফ্যাট না- জমলে তো ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবেই। গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিস সমস্যাতেও আদা খুবই কার্যকরী। এ ছাড়া, আদার রস শরীরে জমে থাকা চর্বি দূর করতে সহায়তা করে।
মরিচ ঃ মরিচে রয়েছে অক্সালিক অ্যাসিড, কিউনিক অ্যাসিড, অ্যামিনো অ্যাসিড, ক্যারোটিনস, কিপ্টোক্যানসিন, ফ্ল্যাভনয়েডস প্রভৃতি। এগুলো ওজন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। আর মরিচের ক্যাপসাইসিন ক্ষুধাও নিয়ন্ত্রণ করে। মরিচ মেটাবলিজম বাড়িয়ে বেশি ক্যালরি বার্ন করতে সহায়তা করে।
জিরা ঃ বদহজম, ফোলা এবং খাবারে অরুচিজনিত সমস্যায় জিরা খুবই উপকারী। পাইলসের সমস্যায় মিছরির সাথে জিরা মিশিয়ে খেলে খুবই উপকার পাওয়া যায়। নিয়মিত জিরা খেলে ওজন কমে। বেশি খাবার খাওয়ার অস্বস্তি থেকেও জিরা-পানি মুক্তি দেয়।
সাংবাদিক-কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।