Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ভারতের সবচেয়ে দূষিত শহর কলকাতা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:২৮ পিএম

ভারতের অন্যতম দূষিত শহর কলকাতা। কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে।
বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করতে সম্প্রতি পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নির্দিষ্ট রূপরেখা, ‘ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রাম’ (এনসিএপি) প্রকাশ করা হয়েছে।
ওই কর্মসূচির প্রধান উদ্দেশ্যই হলো, যেভাবে দেশে বায়ুদূষণ বিপজ্জনক মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা নিয়ন্ত্রণ করা। পাশাপাশি, ২০২৪ সালের মধ্যে প্রাথমিকভাবে বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা (পিএম ১০) ও অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার (পিএম ২.৫) পরিমাণ জাতীয় স্তরে ২০-৩০ শতাংশ কমানো। ওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত পাঁচ বছর ধরে ধারাবাহিক ভাবে বায়ূসূচকের স্বাভাবিক মাত্রা লঙ্ঘিত হয়েছে এমন ১০২টি শহরের মধ্যে অন্যতম কলকাতা!
সম্প্রতি রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (নিরি) তরফ থেকে কলকাতার বায়ুদূষণ সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট জমা পড়েছে। সেখানেও দেখা গেছে, শহরে বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার পরিমাণ কী অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

কোথাও কোথাও, বিশেষ করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়গুলোতে সেই পরিমাণ সহনশীল মাত্রার থেকে প্রায় ছয়গুণ বেশি থেকেছে। ওই প্রতিবেদনে এটাও দেখানো হয়েছিল যে, শহরে দূষণের পেছনে মূল কারণ হল পথের ধুলা! যদিও প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলছেন, কলকাতার অবস্থা অন্য শহরগুলোর তুলনায় অনেকটাই ভাল।
কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের রিপোর্টেও দেখা যাচ্ছে, কলকাতাসহ দেশের সমস্ত শহরের সার্বিক বায়ূদূষণের পেছনে পথের ধুলা ও নির্মাণস্থলের (নির্মাণ ও ভাঙা) দূষণই প্রধান দায়ী। কয়লা বা অন্য জ্বালানি, পাতা, কাঠ পোড়ানো, যানবাহনের ধোঁয়ার মতো অন্য কারণগুলোও অবশ্য রয়েছে।

পথের ধুলা কমানোর জন্য রাস্তার ডিভাইডারে সবুজের পরিমাণ বাড়ানো, ভাঙাচোরা রাস্তা দ্রুত সারানো, রাস্তার ধুলায় দিনে দু’বার পানি দেওয়ার ব্যবস্থা করাসহ একাধিক পদক্ষেপ নেয়ার কথাও বলা হয়েছে। এক মাস, দু’মাস, ও তিন মাসের মধ্যে ওই পরিকল্পনা কী ভাবে বাস্তবায়িত করতে হবে, তার উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ