বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সাভারে চারদিন আটকে রেখে সপ্তম শ্রেণীর এক স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষন করেছে বখাটেরা।গুরুতর আহত কিশোরী (১২) কে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ওই কিশোরীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি ) স্থানান্তরের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সাভার পৌরসভার নামা গেন্ডা এলাকা থেকে গত সোমবার রাতে কিশোরীটিকে জোর পুর্বক তুলে নেয় দুর্বৃত্তরা।ওই কিশোরী স্থানীয় নূর ক্যাডেট স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী।
ধর্ষিতা কিশোরীর বাবা হেলাল উদ্দিন পেশায় রিক্সা চালক।তিনি জানান,তিন মেয়ের মধ্য সবার ছোট মেয়েটি সোমবার সন্ধ্যার পর বাসার সামনের দোকানে চিপস কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়।
এ ব্যাপারে তিনি সাভার থানায় অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ হেলাল উদ্দিনের।
বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর তাদের নজরে আসে প্রতিবেশী মজিবরের বখাটে ছেলে বিল্লাল হোসেন-ও নিখোঁজ। সন্দেহ থেকে স্থানীয়রা তাদের পরিবারকে চাপ সৃষ্টি করলে শুক্রবার রাত ১২ টার দিকে অচেতন অবস্থায় ওই কিশোরীকে বাসার সামনে ফেলে রেখে যায় দুর্বত্তরা।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ওই কিশোরী জানান,ওই দিন রাতে বিল্লল হোসেন দোকানের সামনে থেকে কথা আছে বলে সামনে ডেকে নেয়।কিছু বুঝে ওঠার আগেই সেখানে অপেক্ষমান একটি মাইক্রোবাসে তাকে জোরপুর্বক তুলে নেয়া হয় অজ্ঞাত স্থানে।
স্থানটি সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে না পারলেও সেখানে পৌঁছুতে প্রায় ৪ ঘন্টার মতো সময় লেগেছিলো বলেও জানান ওই কিশোরী।
তিনি বলেন, সেখানে নেবার পর একটি বাড়িতে আটকে রেখে বিল্লালসহ দুই দুর্বৃত্ত তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।পরে অচেতন অবস্থায় শুক্রবার রাত১২ টার দিকে বাড়ির সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
ধর্ষিতা কিশোরীর মা রুবিয়া খাতুন জানান,এ ঘটনার পর থানায় গেলেও তাদের অভিযোগ আমলে নেয়া হয়নি।এই সুযোগে এলাকার প্রভাবশালীরা বিষয়টি আপোষ মিমাংসার জন্যে চাপ সৃষ্টি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
স্থানীয় স্কুলে শিক্ষক আব্দুল রাজ্জাক মাষ্টার জানান,পুলিশ বখাটের বাবা মজিবরকে আটক করলেও পরে ছেড়ে দেয়। এখন উল্টো মামলা না করার বিষয়ে প্রভাবশালীরা হস্তক্ষেপ করছে।
দরিদ্র রিক্সা চালক শেষ পর্যন্ত আইনের আশ্রয় পাবেন কি’না তা-ও নিয়েও নিজের সংশয়ের কথা জানান তিনি।
যোগাযোগ করা হল সাভার মডেল থানার সহকারী উপ পরিদর্শক দুলাল রায় জানান,আমি সরেজমিনে তদন্ত করেছি।ওসি সাহেব থানায় না থাকায় পরে তাদের আসতে বলেছি।
তবে সাভার মডেল থানার ওসি আব্দুল আউয়াল জানান,স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের বিষয়টি তার জানা নেই। অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জড়িত বখাটেরা ছিলো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।