Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ছাগলনাইয়ায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আবুল কালামকে হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা দিল পুত্র

ছাগলনাইয়া (ফেনী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০১৯, ৬:৫৪ পিএম | আপডেট : ৭:১৬ পিএম, ১২ জানুয়ারি, ২০১৯

ছাগলনাইয়ায় সেপটিক ট্যাংক থেকে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আবুল কালামের (৫২) অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের একদিনের মাথায় পুলিশ হত্যাকন্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে। নিহতের ছেলে হাসান ও তার বন্ধুরা মিলেই ঘটিয়েছে এ হত্যাকাণ্ড। শুক্রবার রাতে ছাগলনাইয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) এমএম মোর্শেদ পিপিএম ও পরিদর্শক (তদন্ত) সুদ্বীপ রায়ের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে সে। তার দাবী তার বাবা আবুল কালাম পরিবারের সদস্যদের কোন কারণ ছাড়া প্রায় অমানুষিক নির্যাতন করতো। এটা দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন আবুল হাসান। এই জন্য বন্ধু দিয়ে ভয় লাগাতে গিয়ে লাঠি দিয়ে হাল্কা আঘাত করে। এতে তার মৃত্যু হয়। সে আরো বলে, এত হাল্কা আঘাতে তার বাবার মৃত্যু হবে সেটা ভাবতে পারেন নি। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে সেপটিক ট্যাংক থেকে আবুল কালামের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওইদিনই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী রেখা আক্তার ও ছেলে হাসানকে থানায় নেয় পুলিশ। পরে হাসানের বন্ধু ইমাম হোসেন রহিমকেও আটক করা হয়। রহিম কৈয়রা গ্রামের ওসমান গণির ছেলে। ঘটনার ক্লু উদঘাটন হওয়ার পর শুক্রবার রাতেই রেখা আক্তারকে ছেড়ে দেয়া হয়। হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় ছেলে আবুল হাসান ও বন্ধু ইমাম হোসেন রহিমকে। কালামের বোন জরিনা আখতার জানান, গত শুক্রবার রাত থেকে নিখোঁজ হন ভাই আবুল কালাম। বৃহস্পতিবার ঘরের পাশে দুর্গন্ধ পান তিনি। এসময় পাশের ঘরের সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা সামান্য ফাঁকা দেখতে পান। বিষয়টি এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেনকে জানালে তিনি পুলিশে খবর দেন। দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ও সেফটি ট্যাংকে লাশ দেখতে পেয়ে বিকেলে লাশ উদ্ধার করে। জরিনা আখতার আরো জানান, তার ভাই নিহত আবুল কালাম অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য কুক ছিলেন। তিনি তিনটি বিলে করেছেন। ১ম স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক বিচ্ছেদ হওয়ায় রেখা আক্তারকে দ্বিতীয় বিয়ে করে ও শেষে ঢাকার এক গার্মেন্টস কর্মীকে বিয়ে করেন। বর্তমানে ২য় স্ত্রী রেখার সাথে বাড়ীতে বসবাস করেন। গত দুবছর আগে আবুল কালাম স্ট্রোক করার পর থেকে স্বাভাবিক আচরণ করতেন না। রাতে ঠিকমত ঘুমাতেন না। গত শুক্রবার মাগরিবের নামাজের পর থেকে তিনি নিখোঁজ দিন দুপুরে আবুল কালামের স্ত্রী রেখা আক্তার, ৩ ছেলে ও ১ মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ীতে চলে যায়। আবুল কালাম পশ্চিম মধুগ্রাম মিদ্দা বাড়ীর সামছুল হকের ছেলে।



 

Show all comments
  • nasir ১২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১০:৫২ পিএম says : 0
    বল্ লে অনেক কথাই বলা যা। যে, বা যারা এমন অস্বাভাবিক কাজ করতে পারে,তারা স্বাভাবিক বিবেকবান মানুষ নয়। প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক য়ে,এমন কাজ কেন করে? এর হাজার উত্তর থাকতে পারে। প্রথমে বলা যায় তারা যেহেতু পশু সুলভ আচরণ করেছে সুতরাং তারা মানুষ নয় তারা পশু। এখন প্রশ্ন আসবে--- মানুষ কেন পশু হয়? এরও হাজার উত্তর রয়েছে। যেমন বলা যায় - যে জ্ঞানের মাধ্যমে অমানুষ থেকে মানুষ হতে হয়, সেই জ্ঞানের চর্চা নাই বরং সেই জ্ঞান বিলুপ্তির জন্য ব্যাপক ব্যবস্থা বিদ্যমান।
    Total Reply(0) Reply
  • মুফতী অাব্দুল কাদির জিলানী ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ৬:২৭ এএম says : 0
    রাসুল (সাঃ) বলেছেন মাতা-পিতা তোমার জান্নাত বা জাহান্নাম। তাদের সেবা যত্ন করে তুমি জান্নাত ওয়াজিব করে নিতে পারো, নতোবা তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার বা তাদের কষ্ট দিয়ে জাহান্নামি হতে পারে। আমার কথা হচ্ছে মাতা-পিতা সন্তানের উপর যতোই নির্যাতন করুক ,সন্তান তাদের উপর কোন প্রতিশোধ নিতে পারে না। প্রয়োজন প্রতিবেশী বা আত্মীয়তের মধ্যে যারা সম্মানিত তাদের মাধ্যমে মাতা-পিতা'কে বুঝানোর চেরেষ্টা করতে পারে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছাগলনাইয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ