রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
২০২০ সালে অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে জানুয়ারী ২০২০ থেকে মাসিক বেতন ও সেশনচার্জ নেয়া যাবেনা বলে জাতীয় শিক্ষাবোর্ড থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ প্রজ্ঞাপনটির ৫ এর ঙ-তে উল্লেখ করা হয়, পরীক্ষার্থীদের বেতন ও সেশনচার্জ ৩১ ডিসে¤॥^র ২০১৯ পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে। কোন ক্রমেই পরীক্ষার্থীদের ২০২০ সালের বেতন ও সেশবচার্জ নেয়া যাবে না। সরকারি এ নির্দেশনা ছাগলনাইয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের হাতে এলে তিনি উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিষয়টি অবহিত করেছেন বলে জানান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আল মমিন। কিন্তু সরকারি এ নির্দেশনা অমান্য করে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে ২০২০ সালের জানুয়ারী থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসের বেতন ১ হাজার ৬৫০ টাকা এবং প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর নিকট থেকে সেশনচার্জ নিয়েছে ১ হাজার টাকা হারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাডেমী স্কুলের ভুক্তভোগী কয়েকজন অভিভাবক বলেন, আমরা প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকদের বলেছিলাম সরকার ২০২০ সালের বেতন ও সেশনচার্জ দিতে হবেনা বলে নির্দেশনা প্রদান করার পরও আপনারা আমাদের থেকে বাড়তি টাকাগুলো কেনো নিচ্ছেন?
প্রধান শিক্ষক উত্তরে বলেন, এটি আমাদের স্কুল কমিটির সিদ্ধান্ত। এমন অনিয়ম নিয়ে প্রশাসন বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ভুক্তভোগী এসএসসি পরীক্ষার্থীরা জানায়, আমাদের অভিভাবক কিংবা আমরা শিক্ষার্থীরা যদি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি তাতে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনো না কোনো ভাবে বিপদে ফেলবে তাই লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। একাডেমী স্কুলের ২০২০ সালের নিয়মিত ৩৩ জন এসএসসি পরীক্ষার্থীর নিকট থেকে বাড়তি এ বেতন ও সেশনচার্জ নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ অনিয়মের বিষয়টি স্বীকার করেছেন ছাগলনাইয়া একাডেমীর প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেন। তবে তিনি দাবি করেন, সকল পরীক্ষার্থীর নিকট থেকে এ বাড়তি টাকা নেয়া হয়নি এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ সরকারি এ নির্দেশনাটি পায়নি বলেই বাড়তি টাকা আদায় করেছে। তিনি বলেন, আমরা এ বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিবো। এ বিষয়ে ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার। শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই বিতরণ, উপবৃত্তি সহ সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা প্রদান করছেন। এমতাবস্থায় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বাড়তি বেতন ও সেশন ফি নেয়া মানে সরকারকে জাতীর নিকট প্রশ্নবৃদ্ধ করা। এ অনিয়মের সঠিক তদন্ত করে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া তাহের বলেন, আমি এ অভিযোগ শুনেছি এবং দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আল মমিন অভিযোগটি সত্য নিশ্চিত করে বলেন, আমি এ অভিযোগ পেয়েছি এবং সরকারি নির্দেশনা অমান্য করার কারন জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন স্কুলের ক্লার্ক ভুলে এ টাকা নিয়েছে কিন্তু আমরা ঐ টাকা ফেরত দিবো। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ঐ টাকা কেনো ফেরত দেয়া হয়নি বিষয়টি জানতে বার বার ফোন দিয়েছি কিন্তু প্রধান শিক্ষক ফোন রিসিভ করেননি। তবে আমি নিজেই একাডেমী স্কুলে গিয়ে তদন্ত করে এর ব্যবস্থা নিবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।