মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিচারপতিকে নিয়ে প্রশ্ন তোলায় আবারও পিছিয়ে গেল ভারতের অযোধ্যার বাবরি মসজিদ মামলার শুনানি। পরবর্তী শুনানি ২৯ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।
পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে বিতর্কিত রামমন্দির-বাবরি মসজিদ মামলার শুনানি শুরু হওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ এই শুনানি শুরু হয়। কিন্তু শুরুতেই বিতর্ক বাঁধে। বিচারপতি উদয় ইউ ললিতকে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুসলিম পক্ষের আইনজীবী রাজীব ধবন। তারপর পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন বিচারপতি ললিত। এর পরই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়। বিচারপতি ললিতের পরবর্তে নতুন বিচারপতিকে সদস্য করে নতুন বেঞ্চ গঠন হবে। তার পরই এই মামলার শুনানি হবে।
এর আগে ৪ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট মামলার শুনানির জন্য এই দিন ঠিক করে দেয়। কিন্তু সাংবিধানিক বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে চলেছে, তখনও এ বিষয়ে কোনও ধারণা ছিল না। পরে রাম জন্মভূমি মামলায় প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বিপরীত পথে হাঁটেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তিনি জানিয়ে দেন, এই মামলার শুনানি হবে সাংবিধানিক বেঞ্চে। যার নেতৃত্বে থাকবেন শীর্ষ আদালতের ৫ বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে শীর্ষ স্তরের ওই বেঞ্চের সদস্যরা হলেন বিচারপতি এস এ ববদে, বিচারপতি এন ভি রামানা, বিচারপতি উদয় ইউ ললিত ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার শুনানি শুরু হওয়ার পর এই প্রথম কোনও বেঞ্চ গঠিত হয়েছিল, যাতে কোনও সংখ্যালঘু বিচারপতি ছিলেন না।
এর আগে, রাম জন্মভূমি মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল হওয়ার সময়েই সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠনের আর্জি জানানো হয়েছিল। পরে মসজিদ ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ কি না, সেই প্রশ্নের মীমাংসার জন্য সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠনের আর্জি পেশ হয় সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠনের সমস্ত আর্জি খারিজ করে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র জানান, নেহাত জমি সংক্রান্ত বিবাদ হিসেবেই এই মামলার বিচার হবে শীর্ষ আদালতে।
অনেক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন মামলার রায় বেরনোর আগেই রামমন্দির বানানোর জন্য অধ্যাদেশ জারির দাবি করেছে। কিন্তু সম্প্রতি সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদি স্পষ্ট জানিয়েছেন, মামলাটি বিচারাধীন, বিচার সম্পূর্ণ হওয়ার পরই এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব। এবং কেন্দ্র সেই সিদ্ধান্ত সংবিধান মেনেই নেবে। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।