মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তিন বছর আগে বহুল আলোচিত সমালোচিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনায় প্রথমবারের মতো কোনও ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন ফিলিপাইনের একটি আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার আদালত দেশটির বেসরকারি রিজাল কমার্সিয়াল ব্যাংক করপোরেশনের (আরসিবিসি) সাবেক কর্মকর্তা মায়া সান্তোস দিগুইতোকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিয়েছেন।
মুদ্রাপাচারের আট দফা অভিযোগে দেয়া এ রায়ে প্রতিটি ধারায় মায়া সান্তোসের ৪ থেকে ৭ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। সে হিসেবে সব কটি ধারা মিলে ৩২ থেকে ৫৬ বছরের দণ্ড পেলেন দিগুইতো।
একইসঙ্গে তাকে ১০ কোটি ৯০ লাখ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। যা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চুরি যাওয়া অর্থের চেয়ে বেশি।খবর নিক্কেই এশিয়ান রিভিউয়ের। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে গচ্ছিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার সরিয়ে ফিলিপিন্সের রিজাল ব্যাংকের মাকাতি শহর শাখায় নেয়া হয়।
বিশ্বজুড়ে আন্তঃব্যাংক মুদ্রা লেনদেনের মাধ্যম সুইফট মেসেজিং সিস্টেমে জালিয়াতির মাধ্যমে চুরি করা রিজার্ভের ওই অর্থের একাংশ ব্যাংক থেকে ছাড় হয়ে জুয়ার টেবিলে চলে যায়। সে সময় ওই শাখার ব্যবস্থাপক ছিলেন দিগুইতো।
প্রতিবেদন মতে, এই কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক থেকে অর্থ আনা এবং তা চারটি অজ্ঞাত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে জমা করার বিষয় নিজে তদারকি করেছিলেন। ফিলিপাইনের মাকাতি শহরের আরসিবিসি শাখার মাধ্যমে ওই অর্থ ফিলিপাইনে আসার পর তা মুদ্রা লেনদেনকারী ফিলরেম নামের এক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চলে যায় তিনটি ক্যাসিনোর কাছে। এভাবে হাতবদল হয়ে সবশেষে ফিলরেমের মাধ্যমে ওই আট কোটি ডলার ফিলিপাইন থেকে আবার অন্য দেশে পাচার হয়ে যায়।
এতে ওই ব্যাংকের তৎকালীন শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দিগুইতো সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ পায় ডিওজে। এ জন্য আরসিবিসি থেকে বরখাস্ত হন তিনি।
গত বছরের আগস্টে ফিলিপাইন সরকার তাকে এ কারণে গ্রেপ্তারও করা হয়। তবে দিগুইতো সব সময় অর্থ পাচারের ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করে এসেছেন।
তার দাবি, আরসিবিসির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাকে কিছু কাজ করতে হয়েছে।
আদালত আজ ২৬ পৃষ্ঠার রায়ে বলেন, অর্থ লেনদেনে তার কিছুই করার ছিল না বলে মায়া আদালতে যে কথা বলেছেন, তা একেবারে নির্জলা ও বড় ধরনের মিথ্যা। তবে মায়ার আইনজীবী ডেমি কাস্টোডিয়ো এই রায়ের পর জানিয়েছেন, তারা রায়ে হতাশ। এ বিষয়ে মায়া উচ্চ আদালতে যাবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।