Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশ ব্যাংক তথ্য লুকিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে -রিজাল ব্যাংক

| প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অভিযোগ নাকচ অর্থমন্ত্রীর
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংক তথ্য লুকিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন (আরসিবিসি)। গত শনিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত রিজার্ভ চুরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরসিবিসি’কে পৃথিবী থেকে মুছে ফেলতে চান বলে জানানোর পর ফিলিপাইনের এই ব্যাংক ঢাকার আর্থিক কর্তৃপক্ষ তাদের গাফিলতি আড়ালের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে। একই সঙ্গে ব্যাংকটিকে ‘বলির পাঠা’ না বানাতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন এ আহ্বান জানায়। এর আগে বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, ক্ষতিপূরণ চেয়ে ফিলিপাইনের আরসিবিসির বিরূদ্ধে যৌথ মামলা দায়ের করতে নিউইয়র্ক ফেডারেল ব্যাংক’কে প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। এদিকে ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংক যে অভিযোগ করেছে, সেটি নাকচ করে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, রিজাল ব্যাংককে বলির পাঁঠা বানানোর কোনো চেষ্টা হচ্ছে না, প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার কোনো যোগ্যতা নেই। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। গত শনিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত রাজধানীতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক আরসিবিসির বিরুদ্ধে মামলার পরিকল্পনা নিয়েছে। পৃথিবী থেকে রিজাল ব্যাংকটাকেই বিদায় করতে হবে। তবে এর পেছনে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
অপরদিকে গতকাল মঙ্গলবার আরসিবিসির আইন বিষয়ক প্রধান জর্জ দেলা কুয়েস্তা এক বিবৃতিতে বলেন, ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সিনেটের কাছে আইনি সব বিষয় তুলে ধরেছে আরসিবিসি। বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের অনেক কিছুই চেপে গেছে।
গত বছরের ফেব্রæয়ারিতে নিউইয়র্ক ফেডারেল ব্যাংকে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার হাতিয়ে নেয় অজ্ঞাত হ্যাকাররা। সুইফট পেমেন্ট সিস্টেমে ভুয়া নির্দেশ ব্যবহার করে তারা এই অর্থ চুরি করে। এই অর্থ ম্যানিলাভিত্তিক রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের পর ফিলিপাইনের ক্যাসিনোতে যায়।
প্রায় দুই বছর পরও দায়ীদের চিহ্নিত করা যায়নি এবং ম্যানিলার এক ক্যাসিনো অপারেটরের কাছ থেকে বাংলাদেশ মাত্র ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার উদ্ধার করেছে।
‘এই চুরির ঘটনায় আংশিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকও দায়ী। বাংলাদেশ ব্যাংক স্বচ্ছতা অস্বীকার করে ক্রমাগত দায় এড়াচ্ছে। সাইবার ক্রাইমের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক পদক্ষেপের ক্ষেত্রেও এটি এক ধরনের অসদাচারণ’- দেলা কুয়েস্তা। ‘আরসিবিসি স্পষ্টতই বাংলাদেশ ব্যাংকের অসাবধানতার শিকার।’



 

Show all comments
  • মাহমুদ ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭, ৪:২৩ এএম says : 0
    আপাদত দায় এড়ানো গেলে ভবিষ্যতে সকল কিছুর হিসেব দিতে হবে
    Total Reply(0) Reply
  • শহীদ ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:২৮ পিএম says : 0
    ভাল লাগল
    Total Reply(0) Reply
  • naoshin ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭, ২:৩৩ পিএম says : 0
    shomoy ashlei shudhu jana jabe ashol kahini.....
    Total Reply(0) Reply
  • Ahmed ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭, ২:৪৭ পিএম says : 0
    Mamla kortei hobe, RCBC tk bank theke sarlo keno ?? Age to dekhbe koththeke tk asece, kothai jasche. TK to ar kom chilona, Ortho Montri saheb thik e bolesen, Mamla thitei hobe.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ