বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
![img_img-1720362219](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678506381_AD-1.jpg)
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
উন্নত চিকিৎসার জন্য হাঙ্গেরি নেওয়া হয়েছে জোড়া মাথার শিশু রাবেয়া ও রোকাইয়াকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তায় রাতের ফ্লাইটে দুই শিশু সপরিবারে হাঙ্গেরি রওনা হয়। তাদের সঙ্গে রয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হোসাইন ইমাম ইমু। গত এক বছর ধরে মাথা জোড়া লাগানো শিশু দু’টি বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছে। এসময় জার্মান এবং হাঙ্গেরির দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দুই দফায় এনজিওগ্রামের মাধ্যমে শিশু দু’টির ব্রেইনের প্রধান রক্তনালী আলাদা করা হয়। পরবর্তীতে তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য হাঙ্গেরি নিয়ে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম জানান,'বাংলাদেশে তাদের চিকিৎসার দুই ধাপ সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন তৃতীয় ধাপ সম্পন্ন করার জন্য তাদের হাঙ্গেরি পাঠানো হচ্ছে। সেখানে পাঁচটি বিশেষজ্ঞ টিম চিকিৎসা পরিচালনা করবে। আনুমানিক তিন-চার মাস তারা সেখানে চিকিৎসা নেবে। হাঙ্গেরিতে শিশু দু’টির চিকিৎসার ব্যাপারে তিনি বলেন, 'ইনজেকশনের মাধ্যমে তাদের মাথার খুলি ফুলিয়ে ভেতরে কিছুটা ফাঁকা করা হবে। পরে ফাইনাল অস্ত্রোপচার হবে বাংলাদেশে'। হাঙ্গেরিতে শিশু দুটির চিকিৎসা তত্ত্বাবধান করবে জার্মান ভিত্তিক ‘ফর বাংলাদেশ অর্গানাইজেশন’ নামের একটি সংগঠন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের আনন্দেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুলে যাননি রাবেয়া ও রোকাইয়াকে। বৃহস্পতিবার আবারও নির্দেশ দেন তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুতসময়ের মধ্যে হাঙ্গেরি পৌঁছানোর জন্য। চিকিৎসকের পরামর্শ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও আর্থিক সহযোগিতায় রাত ১টায় একটি ফ্লাইটে তাদের হাঙ্গেরি পাঠানো হয়। উল্লেখ্য,২০১৬ সালের ১৬ জুন পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের আটলংকা গ্রামে জন্ম নেয় যমজ রাবেয়া ও রোকাইয়া। বাবা স্কুল শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ও মা তাসলিমা দম্পতির ঘরে জন্ম নেওয়া নবজাতকদ্বয়ের মাথা জন্মগতভাবেই সংযুক্ত ছিল। পরবর্তীতে একই বছরের ২০ নভেম্বর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয় এই দুই শিশুকে। রাবেয়া ও রোকাইয়ার চতুর্থ দফা অস্ত্রোপচারের জন্য নেয়া হয়েছে হাঙ্গেরি। এরই মধ্যে তাদের তিন দফা সফল অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তিন দফা অস্ত্রোপচারের সময়ই হাঙ্গেরির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ছিলেন। জাতীয় বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বৃহস্পতিবার বলেন,তাদের তিন দফা অস্ত্রোপচার হয়েছে। চতুর্থ ধাপটি খুবই জটিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ ও আর্থিক সহযোগিতায় তাদের চিকিৎসা চলছে। আমাদের বার্ন ইউনিটে তিনটি মেজর অপারেশনেই ছিলেন হাঙ্গেরিয়ান নিউরোসার্জন। সঙ্গে ছিলেন আমাদের দেশের প্লাস্টিক সার্জন, নিউরোসার্জন এবং অ্যানেসথেটিস্টরা। তিনি বলেন, দুই শিশুকে সেখানে ৪-৫ মাস চিকিৎসা দেয়া হবে। শরীরের একাধিক স্থানে বিশেষ টিস্যু বসানো হবে। স্কুল শিক্ষক বাবা রফিকুল ইসলাম জানান,মেয়েরা অনেক খুশি। সুস্থ আছে, তারা সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে সুস্থ জীবনধারণ করবে, এটাই চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের জন্য যা করছেন, আর কেউ এমন করবেন না। শিক্ষিকা মা তাসলিমা খাতুন বলেন, আমার মেয়েরা সব কথা বলতে পারে,সব বোঝে। তারা প্রধানমন্ত্রীর নামসহ অনেক চিকিৎসকের নামও বলতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।