রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
যশোরের মনিরামপুরে স্কুলছাত্র অপহরণ ও হত্যাকান্ডে জড়িত বিল্লাল নামে এক যুবক পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। নিহত বিল্লাল হোসেন মণিরামপুরের খেদায়পুর গ্রামের মোস্তফা’র ছেলে। গতকাল ভোরে মণিরামপুরের নেহালপুর সড়কের কামালপুর জোড়া ব্রিজের কাছে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পরে অপহৃত স্কুল ছাত্র তারিফের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, বন্দুকযুদ্ধের সময় অপহরণকারী চক্রের গুলিতেই নিহত হয় বিল্লাল।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনছার উদ্দিন বলছেন, গত ৬ জানুয়ারি মণিরামপুর উপজেলার খেদাইপুর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র তারিফ হোসেন নিখোঁজ হয়। বল হাতে নিয়ে তারিফ তার জমজ ভাই তাসিফের সাথে ওইদিন মাঠে খেলতে যায়। সন্ধ্যায় তাসিফ বাড়ি ফিরলেও ফেরেনি তারিফ। এরপর তারিফের পিতার কাছে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করলে তিনি ৭ জানুয়ারি থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। এরপর গত মঙ্গলবার সকালে তারিফদের বাড়ির পাশে একটি চিঠি পাওয়া যায়।
চিঠিতে লেখা ছিল ‘তারিফকে আমরা অপহরণ করেছি। পাঁচ লাখ টাকা দিলে তাকে মুক্তি দেব।’ চিঠিতে একটি মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়। পরে সেই নম্বরে যোগাযোগ করলে পাশের কেশবপুর বাজারের একটি বিকাশ এজেন্টের নম্বর দেওয়া হয়। সেই বিকাশ নম্বরে যোগাযোগ করে বিষয়টি এজেন্ট মালিককে খুলে বলা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে সেই দোকানে টাকা নিতে আসে বিল্লাল। ওইসময় এজেন্ট মালিক কৌশলে বিল্লালকে আটকে রেখে আমাদের খবর দেয়। আমরা মণিরামপুর থানায় যোগাযোগ করলে কেশবপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় বিল্লালকে আটক করে থানা পুলিশ।’
পুলিশ অপহরণকারীদের দেওয়া বিকাশ নাম্বারের মাধ্যমে বিল্লালকে শনাক্ত করে। এরপর তার দেওয়া তথ্যমতে মঙ্গলবার রাতে তারিফকে উদ্ধারে সাতনল এলাকায় যায় পুলিশের একটি টিম। এসময় অপহরণকারী চক্রের অন্য সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করতে শুরু করে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এসময় অপহরণকারী চক্রের গুলিতেই নিহত হয় বিল্লাল। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি ওয়ান শুটারগান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।
তিনি আরো জানান, পরে ভোররাত চারটার দিকে স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যমতে খেদাইপুর কালভার্টের নিচ থেকে অপহৃত শিশু তারিফের লাশ উদ্ধার করা হয়। খুনের শিকার শিশু তারিফ উপজেলার ফেদাইপুর গ্রামের কৃষক ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। আর বন্দুকযুদ্ধে নিহত বিল্লাল একই গ্রামের গোলাম মোস্তফা ওরফে কাঠু মোস্তফার ছেলে। তারিফ উপজেলার গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। নিহত বিল্লাল গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়তোবলে জানা যায়। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে লিমা খাতুন (২০) ও আমিন সরদারের ছেলে মাসুম বিল্লাহকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।