Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সীতাকুন্ডে খুন ও ডাকাত আতঙ্ক

সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

সীতাকুন্ডে বেড়েই চলেছে খুনোখুনি। নতুন করে একটি খুনের পর চাপা পড়ে যাচ্ছে আগেরটি। গত ৯ দিনে উপজেলায় তিনটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে একটি ঘটনায় খুনীকে এলাকাবাসী হাতে নাতে ধরে পুলিশে দিয়েছে। এছাড়া অন্য দুটি ঘটনায় কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এভাবে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে খুনীরা।
স্থানীয়রা জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরদিন ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ৯ দিনে তিনটি খুনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। কিন্তু আসামিরা ধরা পড়ছে না। নির্বাচনের পরদিন সীতাকুন্ড পৌরসদরের ৪ নং ওয়ার্ড ভোলাগিরি এলাকায় দিনদুপুরে প্রকাশ্যে খুন হলেন ঐ ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি দাউদ সম্রাট (৩০)। নিহতের মা জেবুন্নেছা বেগম বাদী হয়ে শহীদুল ইসলাম ওরফে ডাকাত শহীদসহ সুনির্দিষ্ট ১৫ ও অজ্ঞাত ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কুমিরা হিঙ্গুলীপাড়ায় সৎ মা শামীনা আক্তারের হাতে নির্মমভাবে খুন হয় নিহাদ হোসেন রাজু (৬) নামে শিশু সন্তান। স্থানীয়রা শামীনাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে তুলে দেয়। পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে হত্যাকারী শামীমা। নিহত শিশু রাজু ঐ এলাকার মহরম আলী দুলালের পুত্র। সর্বশেষ সোমবার রাতে উপজেলার বাড়বকুন্ড উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন রেলওয়ে কলোনীতে নিজ ঘরে নির্মমভাবে খুন হন রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত সরোয়ার হোসেনের পুত্র সীতাকুন্ড পৌরসভাস্থ আলীয়া মাদরাসা শিক্ষক ইমরান হোসেন রিয়াদ (২৮)।
নিহতের বড় ভাই ফরহাদ ও বোন শামীমার বলেন, রাতে ডাকাতদল ডাকাতি করতে এসে বাধা পেয়ে তারা রিয়াদকে কুপিয়ে হত্যাকরে ঘরেই ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মামলা দায়ের হয়েছে। এতে অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।
এদিকে একের পর এক খুনের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে এবং ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এলাকায় প্রতিরাতেই ডাকাত হানা দিচ্ছে।
এ বিষয়ে সীতাকুন্ড থানার ওসি মো. দেলওয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এসব ঘটনায় সব পুলিশ সদস্যকে সতর্ক করাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আমরা সব ঘটনাকেই গুরুত্বের সাথে দেখছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আতঙ্ক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ