Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা : ধর্ষক গ্রেফতার

আশাশুনি (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

আশাশুনিতে ধর্ষণের পর ৩য় শ্রেণীর ছাত্রীকে পুকুরে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। গত রোববার রাতে উপজেলার গাবতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে।
গাবতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী প্রশান্ত দাশের কন্যা নিহত সুষ্মিতা দাশ (৭)। সে ও তার আরেক বোন পাশের নির্মল সরকারের কন্যা অম্বিকা সরকারের কাছে তাদের বাড়িতে প্রাইভেট পড়তো। গত রোববার অম্বিকা বাড়িতে ছিল না। তার মা ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। বোনের পরিবর্তে অম্বিকার ছোট ভাই বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র জয়দেব তাদেরকে পড়ায়। ছোট বোনকে পড়া শেষে আগেই বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে সুস্মিতার পড়া শেষে ফুসলিয়ে ঘরের পিছনে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সে মারা গেছে মনে করে জয়দেব শিশুটিকে পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। সুস্মিতা বাড়িতে না ফেরায় বাড়ির লোকজন খোঁজাখুজি শুরু করলে সুযোগমত জয়দেব লাশটি পুকুর থেকে উঠিয়ে ঘরের পিছনে লেট্রিনের ইন্দ্রা (রিংস্লাব হাউস) এর মধ্যে ফেলে দেয়। অনেক খোঁজাখুজির পর খোলা ইন্দ্রার মধ্যে লাইট দিয়ে দেখার পর লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দিয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এবং ধর্ষক ও হত্যাকারী জয়দেব সরকারকে গ্রেফতার করা হয়।

নিহত সুম্মিতার পিতা প্রশান্ত দাস জানান, তার মেয়ে সুস্মিতা প্রতিবেশী নির্মল সরকারের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে অম্বিকা সরকারের কাছে প্রাইভেট পড়ে। গত রোববার অম্বিকা বাড়িতে না থাকায় তার ভাই জয়দেব সুস্মিতাকে প্রাইভেট পড়াতে তার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। প্রাইভেট পড়ানো শেষে সন্ধ্যায় তাকে সত্যরঞ্জন দাসের দোকান থেকে খাবার কিনে দিয়ে আবারও বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
ওসি বিপ্লব কুমার নাথ জানান, ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত জয়দেব সরকার ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ