বেতন বৃদ্ধির দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো উত্তরার বিমানবন্দর সড়ক অবরোধে নেমেছে গার্মেন্টস শ্রমিকরা। এ সময় শ্রমিক-পুলিশের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন শ্রমিক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এতে করে ব্যস্ততম এ সড়কের দু’পাশে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। আজ সকাল ৯টার দিকে আবদুল্লাহপুর ও উত্তরার সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধের একপর্যায়ে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর ও দক্ষিণখানের পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বর্তমানে আব্দুল্লাহপুর থেকে উত্তরা-বিমানবন্দর সড়কের ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত দু’পাশ বন্ধ রয়েছে।
উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি আলী হোসেন খান বলেন, শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে পুলিশের সর্বোচ্চ ১০ মিনিট সময় লাগবে। কিন্তু আমরা সর্বোচ্চ ধৈর্য্যরে পরিচয় দিচ্ছি।
অনেক গার্মেন্ট কারখানা সরকারি মজুরি কাঠামো মেনে বেতন দেয় কিন্তু সেখানকার শ্রমিকরাও সড়কে নেমেছে। আমরা তাদের সঙ্গে সমঝোতা করে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি।
এদিকে শ্রমিকরা জানান, নতুন মজুরি কাঠামো অনুযায়ী ৫১ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধি শুধু সপ্তম গ্রেডের ক্ষেত্রেই দিচ্ছে মালিকরা। সমান মজুরি দেয়া হচ্ছে না, মূল্যায়ন করা হচ্ছে না অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে। রোববার দুপুরে মালিকপক্ষ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। তবে সে আশ্বাস উপেক্ষা করে সোমবার সকাল থেকে আবারও তারা মাঠে নেমেছেন।
জানা যায়, একই দাবিতে গাজীপুরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। সোমবার সকাল থেকে শ্রমিকরা বিভিন্ন গার্মেন্ট থেকে বিক্ষোভ সহকারে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নেমে আসেন। এক পর্যায়ে তারা ওই মহাসড়কে বিভিন্ন পরিত্যাক্ত বস্তু ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করেন। ফলে ওই সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।