পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নতুন মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাননি আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা, আগের মন্ত্রিসভার নৌপরিবহনমন্ত্রী ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান। নতুন মন্ত্রিসভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। মন্ত্রণালয়টিতে পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে কাউকে রাখা হয়নি। নতুন মন্ত্রিসভায় শাজাহান খানের নাম না থাকায় ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অনেকে।
গত ২৯ জুলাই শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে হাস্যোজ্জ্বল মুখে সংবাদ সংম্মেলনে বক্তব্য রেখে ব্যাপক সমালোচিত হন শাজাহান খান। ওই সময় দেশজুড়ে হওয়া সড়ক আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি ছিল তার পদত্যাগ। তারও আগে দুই বাসের চাপায় প্রথমে হাত হারানো এবং পরে রোজিনা আক্তারের মৃত্যুর পর দায়ী গণপরিবহন শ্রমিকদের শাস্তি নিশ্চিতের পক্ষে অবস্থান না নেওয়ায় তিনি সাধারণ মানুষের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন। এছাড়া, সড়ক পরিবহন শ্রমিকরা বারবার ডাকা ধর্মঘটে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি পড়ে। তখন মন্ত্রিসভা থেকে শাজাহান খানের পদত্যাগের দাবি ওঠে।
গতকাল রোববার মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণার পর শাজাহান খান বাদ পড়ায় ফেসবুকে স্বস্তি প্রকাশ করে পোস্ট দিয়েছেন মানবাধিকারকর্মী, উন্নয়নকর্মী ও সাংবাদিকরা।
এই প্রসঙ্গে কিছুটা সংশয় প্রকাশ করে মানবাধিকারকর্মী সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘পরিবহন শ্রমিকরা যদি ধর্মঘট করে, তাহলে কি শাজাহান খান তার মন্ত্রিত্ব ফেরত পাবেন?’
অনেকটা স্বস্তি প্রকাশ করে একাত্তর টিভির বিশেষ প্রতিনিধি হোসেন সোহেল লিখেছেন, ‘এ যাত্রায় আর তার মুখ দেখতে হবে না।’
এদিকে অনলাইন পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের হেড অব নিউজ হারুন উর রশীদ প্রশ্ন- ‘শাজাহান খান বাদ। এবার কি পরিবহন ধর্মঘট হবে ফ্রাঞ্চ?’
নতুন মন্ত্রিসভাকে অভিনন্দন উন্নয়নকর্মী শাহানা হুদা অভিনন্দন জানিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এর মতো সুখ কোথাও কি আছে? শাজাহান খান বাদ পড়েছে। অভিনন্দন।’
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত জানিসুর রহমান লিখেছেন, ‘শাজাহান খানশূন্য মন্ত্রিসভা, শুকরিয়া।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।